ভোটের ময়দানে বাংলার দিদি নম্বর ১, প্রচারে বেরিয়ে জনসংযোগে খামতি রাখছেন না রচনা। কিন্তু রুপোলি পর্দার এই নায়িকা এখনও রাজনীতির জগতের ছাঁচে নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে গড়ে তুলতে পারেননি। তাই ভোট-প্রচারে একের পর এক ‘কাণ্ড’ ঘটাচ্ছেন।
'চিমনি থেকে ধোঁয়াই ধোঁয়াই বেরোচ্ছে', হুগলিতে প্রচুর কলকারখানা রয়েছে একথা বোঝানোর জন্য এমন মন্তব্য করে হাসির খোরাক হয়েছিলেন রচনা। এবার সিঙ্গুরের দইয়ের প্রশংসা করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন অভিনেত্রী।
শনিবার সিঙ্গুরে দিনভর প্রচার চালালেন রচনা, বেড়িবেড়ি গ্রামের চৌখন্ডিপোঁতা এলাকায় সারলেন মধ্যাহ্নভোজ। এর আগে সিনেমার পর্দায় গরীব ঘরের মেয়ের চরিত্রে দেখা মিলেছে রচনার। এবার বাস্তবে মাটির বাড়ির দাওয়ায় বসে পাত পেড়ে খেলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। স্থানীয় বাসিন্দা মানিক বাগের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করেন রচনা।
সিঙ্গুরের টক-দই থেকে মুগ্ধ দিদি, মেনুতে কী কী ছিল? ভাত, বড়ি ভাজা, বেগুন ভাজা, সজনে ডাঁটা ভাজা, শুক্তো আর স্যালাড। সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল সিঙ্গুরের বিখ্যাত দই। রচনা বলে বসেন, ‘আমাদের ওখানে তো এমন টক দই হই না, কলকাতাতে ওটা কী হয় কে জানে! আমি তো ভাবছি এবার এলেই ব্যাগে করে দই নিয়ে যাব। দারুণ দারুণ’।
এরপর রচনাকে বলতে শোনা গেল, ‘সিঙ্গুরের সবুজ ঘাস, গাছ-পালা খেয়ে গরু হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে। তারপর তার যে দুধটা বেরোচ্ছে যে দইটা এত ভালো। চারিদিকের পরিবেশটাই বাঞ্ছারামদা (স্থানীয় তৃণমূল নেতা) ভালো করে রেখেছে যে ঘাসপাতা খেয়ে গরু হৃদপুষ্ট’।
খাওয়া-দাওয়া সেরে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, খাবার খেয়ে খুব ভালো লেগেছে কিন্তু একটা জিনিস শুনে কষ্ট লাগলো যে তারা মাটির বাড়িতে খুব কষ্ট করে থাকে। এই যে আবাসন প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে বলে আফসোস জাহির করেন রচনা। সঙ্গে বলেন তিনি পার্লামেন্টে যাওয়ার সুযোগ পেলে এই বিষয়টা নিয়ে অবশ্যই লড়বেন।