৬৭তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে সেরা হিন্দি ছবির জন্য পুরস্কার পেয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুতের ‘ছিছোরে’। সেই সময় কমার্শিয়াল বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন ‘ছিছোরে’র পরিচালক নীতেশ তিওয়ারি। তাঁর পরিচালক স্ত্রী আশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারি ছুটে এসে আনন্দের সঙ্গে চিৎকার করে নীতেশকে এই খবর দেন।
দঙ্গল পরিচালক বলেন, ‘এই সম্পর্কে আমার সত্যিই কোনো ধারণা ছিলনা। শটের মধ্যেই আশ্বিনী আচমকা চিৎকার করতে শুরু করে। ওই আমাকে বলে, এবং কঙ্গনা রানাওয়াত ওর(আশ্বিনী) পরিচালিত ছবি পাঙ্গার জন্য পুরস্কার জিতেছেন বলে ও খুব খুশি হয়েছে। আমরা ৫ মিনিটের জন্য শ্যুটিং থামিয়েছিলাম, কারণ আমার পোশাক ডিজাইনার, প্রোডাকশন ডিজাইনার, এবং ছিছোরের সহকারী পরিচালকও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আমরা মুহুর্তটা উপভোগ করি এবং তারপর চুপচাপ শ্যুটিংয়ে ফিরে যাই (হাসি) আমরা শ্যুটিংয়ের পরে উদযাপন করেছি’।
সব থেকে বেশি তাঁরা প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে মিস করেছেন বলে তিনি জানান। কারণ, ছিছোরের সুশান্তের শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। এরপরই ২০২০ সালে সুশান্ত মারা যান। তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিওয়ারি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং বলেন, ‘সবার আবেগই ন্যায়সঙ্গত। দলের প্রতিটি সদস্যের একই অনুভূতি রয়েছে ... সুখের অনুভূতি রয়েছে, হারানোর অনুভূতিও রয়েছে। আমরা সকলেই খুব খুশি যে আমাদের ছবিটি আমরা প্রাপ্য বলে মনে করেছিলাম, এটি পেয়েছেও। দুঃখ বিষয় সুশান্ত এখানে উদযাপন করার জন্য নেই। ও আমাদের সঙ্গে থাকলে কতটা খুশি হত তা সবটাই এখন কল্পনা’।
পুরস্কার জেতার পর দলের প্রত্যেক সদস্যকে পরিচালক আলাদা করে ডেকেছিলেন এবং জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি একটু ঠিকঠাক হলেই তাঁর উদযাপন করবেন। পরিচালক বলেন, ‘আমার জন্য, বাণিজ্যিক যে কোনও কিছুর জন্য যে কোনও ধরণের স্বীকৃতি সম্মানজনক। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক নয়, আমাদের শিল্পের জিনিসগুলি কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, সেই সম্পর্কেও অনেক কথা বলে। দর্শকদের কাছ থেকে ছিছোরে এত ভালোবাসা পেয়েছিল এবং বক্স অফিসে দুর্দান্ত সফল হয়েছিল। সম্মানজনক পুরস্কার পাওয়ায় আমি বিনীত বোধ করছি। স্বীকৃতি পেয়ে আমি কৃতজ্ঞতাবোধ করছি। আমার দলের প্রতিটি সদস্য যারা তাদের হদয় এবং আত্মা, ছবির জন্য সর্বস্ব দিয়েছে তাঁদের জন্য আনন্দ বোধ করছি’।