১৪ বছর একসঙ্গে কাজ করেননি দু’জনে। আবার পর্দায় দেখা হল ‘প্রাক্তন’ ছবির সূত্রে। ২০১৬ সালে। কেমন অভিজ্ঞতা এত দিন বাদে কাজ করতে এসে? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
এক বেসরকারি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ জানান, সব ঠিকঠাক চললে, প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির ৫০টি ছবি হয়েই যাবে। কিন্তু মাঝে এতগুলি বছর একসঙ্গে কাজ করেননি কেন?
প্রসেনজিৎ বলেছেন, সেটি একেবারেই ব্যক্তিগত কারণে। এমনকী এমন সময়ও গিয়েছে, দু’জনে একসঙ্গে ছবি করছেন, রোম্যান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করছেন— তখনও ব্যক্তিগত স্তরে দু’জনের মধ্যে কোনও বাক্যালাপ নেই। সম্পর্ক এতটাই তিক্ত হয়ে গিয়েছিল সে সময়ে— এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পরে কাজ করতে এসে অস্বস্তি হয়নি? দর্শকেরই বা কেমন লেগেছে? কী ভেবেছেন বাংলার মেগাস্টার?
ওই সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ বলেছেন, ১৪ বছর দর্শক তাঁদের একসঙ্গে না দেখার ফলেই, হয়তো তাঁদের মধ্যেও খিদে তৈরি হয়েছিল। ফলে ‘প্রাক্তন’-এ তাঁধের একসঙ্গে দেখে দর্শকের আবার ভালো লাগে। পর্দায় প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা ম্যাজিক যে একটা প্রজন্ম পরে এসেও সমানভাবে কাজ করেছে, তা দেখে নিজেও অবাক হয়েছেন তিনি।
কিন্তু তাঁ নিজের কেমন লেগেছিল ১৪ বছর বাদে কাজে ফিরে এসে? প্রথম দৃশ্যই বা কেমনভাবে সামলেছিলেন? অভিনেতা বলেছেন, ১৪ বছর বাদে ‘প্রাক্তন’-এর যে দৃশ্যটি দু’জনকে একসঙ্গে শ্যুট করতে হয়, সেটি ছিল বিছানার একটি দৃশ্য। রোম্যান্টিক নয়, স্বামী-স্ত্রীর সাধারণ কথাবার্তার একটি দৃশ্য। অনেকটা একই ধরনের দৃশ্য ছিল ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত ‘উৎসব’ ছবিতেও। প্রসেনজিতের কথায়, ‘উৎসব’ ছবির ক্যামেরাম্যান অভীক মুখোপাধ্যায়ের সহকারী ছিলেন গোপি ভগত। ঘটনাচক্রে তিনিই আবার ‘প্রাক্তন’-এর ক্যামেরাম্যান। বিছানার ওই দৃশ্যের শ্যুটিং শেষ হওয়ার পরে গোপি নাকি বলেছিলেন, ‘উৎসব’-এর সেই দৃশ্যটির কথাই যেন আবার মনে পড়ে গেল।
এর পরে মুক্তি পাচ্ছে ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’। যদিও সেই ছবিতে অতিথি শিল্পী হিসাবে কাজ করছেন তাঁরা। তবে তার পরে ‘প্রাক্তন ২’ তৈরি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন অভিনেতা।