২০১৬ সালে হৃত্বিক রোশনের তরফে দায়ের করা ই-মেল মামলায় জবানবন্দি দিতেই আজ (শনিবার) ক্রাইম ইন্টালিজেন্স ইউনিটের দফরতে হাজির হলেন অভিনেতা। ২০১৬ সাল থেকে চলে আসা এই মামলা নতুন মোড় নিয়েছিল গত বছর ডিসেম্বরে। গত বছরের শেষেই ‘কঙ্গনা-হৃত্বিক ই-মেল বিতর্ক’ মামলা সাইবার সেল থেকে চলে যায় ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইন্টালিজেন্স ইউনিটের হাতে। আর তদন্তভার হাতে নেওয়ার প্রায় দু-মাস পর হৃত্বিককে সমন পাঠানো হয়েছিল মহারাষ্ট্রের ক্রাইম ইন্টালিজেন্স ইউনিটের তরফে।
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ হৃত্বিককে বয়ান রেকর্ড করবার জন্য ডাকা হয়েছিল। নিজের বাসভবন থেকে ডেনিম জিনস ও কালো টি-শার্টে বার হতে দেখা যায় হৃত্বিককে। মাথায় ছিল টুপি ও করোনা সচেতন হৃত্বিক মুখ ঢেকে রেখেছিলেন মাস্কে।
এই মামলা নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়ার পর পরিচিত মেজাজে টুইটারে নিজের মত প্রকাশ থেকে পিছপা হননি কঙ্গনা। তিনি লেখেন, ‘দুনিয়া কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে গেল আর আমার সিলি এক্স এখনও ওই মোড়েই দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে সময় কোনওদিন ফিরে যাবে না’।
গোটা ঘটনার সূত্রপাত্র ২০১৬ সালে। সেই সময় এক সাক্ষাত্কারে কঙ্গনা হৃত্বিককে ‘সিলি এক্স’ বলে খোঁচা দেন। এরপরই ই-মেল চালাচালির ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন হৃত্বিক। রাকেশ রোশন পুত্রের অভিযোগ, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কঙ্গনার ই-মেল অ্যাকাউন্ট থেকে হৃত্বিককে ১৪৩৯টি মেল পাঠানো হয়েছিল। অভিনেতার কথায় এই সমস্ত ই-মেল তাঁর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে। হৃত্বিকের আইনজীবী দাবি করেন, কঙ্গনার কিছু মন্তব্যে তাঁর মক্কেলের মানহানি হয়েছে। এর ভিত্তিতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯-এর ৬৬ (সি এবং ডি) ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল।
২০১০ সালে কাইট ছবিতে অভিনয় করেন হৃত্বিক-কঙ্গনা। এরপর ২০১৩ সালে কৃশ-থ্রি ছবিতে অভিনয়ের সময়ই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দু-জনের। ২০১৪ সালে করণ জোহরের পার্টিতে অন্তরঙ্গ অবস্থায় কঙ্গনা-হৃত্বিকের একটি ছবিও ভাইরাল হয়। কঙ্গনা বারবার হৃত্বিকের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক থাকার কথা দাবি করে এলেও সেটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন হৃত্বিক রোশন। হৃত্বিকের কথায় তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র প্রফেশনাল সম্পর্ক ছিল।