সুজিত সরকারের ছবি ‘সর্দার উধাম’। ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন ভিকি কৌশল। ছবির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ভিকি। হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া একটি নতুন সাক্ষাৎকারে ভিকি শেয়ার করেছেন, ছবির জন্য জালিয়ানওয়ালাবাগ সিকোয়েন্সটি পুনঃনির্মান করা তাঁর জন্য কতটা কঠিন ছিল।
ভিকি বলেছেন, ‘অবশ্যই, একজন অভিনেতা হিসেবে আমাকে কী করতে হবে তারজন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু এখনও একজন ব্যক্তি হিসেবে মনে মনে একটু ভয় ছিল। সেই বাস্তবতায় পড়া, প্রায় একটি বাস্তবতা, সেই স্থানে নিজেকে কল্পনা করা। মৃতদেহ, রক্তপাত এবং রক্তপাত দেখে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয়েছিল’।
তিনি আরও বলেন, ‘শেষ করে হোটেল রুমে ফিরে যাওয়া, তারপর আবার ফিরে আসা(সেটে), পরেরই দিন আবার সেটাকে করা। এটা শারীরিকভাবে ক্লান্তি এবং মানসিকভাবে অসাড় ছিল’।
কীভাবে সেই পরিস্থিতির সঙ্গে কাজ করতে পেরেছেন, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি! সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভিকি জানিয়েছেন, ‘এবিষয় খুব বেশি চিন্তা করিনি। পরিস্থিতির ওপর সব ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমি সেই মুহূর্তে সৎ হওয়ার চেষ্টা করছিলাম। আমাকে আমাপ অন্দরের ১৯ বছরের বাচ্চাটাকে খুঁজে বের করতে হয়েছিল’। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, ১৯১৯ সালে কুখ্যাত জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পর আহতদের উপস্থিতিতে উধম সিং উপস্থিত ছিলেন।
ভিকি কৌশল আরও বলেছিলেন, এই ছবিতে কাজ করে থিয়েটারের দিনগুলিতে ফিরে যাওয়ার মতো মনে হয়েছিল তাঁর। তিনি বলেন, ‘সুজিত দা (সর্দার উধাম সিং পরিচালক সুজিত সরকার) ঠিক এভাবেই কাজ করেন। এই ধরণেরই ছবি তৈরি করে থাকেন তিনি। তার গল্প বলার দৃষ্টিভঙ্গিটাও এ রকমই। আমার কাছে তার প্রথম সংক্ষিপ্ত বিবরণ ছিল, আমি এই ব্যক্তির মনের মধ্যে প্রবেশ করতে চাই। শুধু তার কাজই নয়, এটা তার চিন্তা -ভাবনা যা তাকে বিপ্লবী বানিয়েছে। এবং ঠিক সেটাই আমরা দর্শকদের উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি’।
অভিনেতা বলেন, ‘আমাদের গল্পে, মুক্তিযোদ্ধাদের সুপারম্যানের মতো আঁকা হয়। আমরা তাদের শহিদ হিসাবে এঁকেছি এবং তাদের বইয়ে আবদ্ধ রেখেছি। সুজিত দা চেয়েছিলেন তিনি বেঁচে থাকুক এবং আমাদের মাঝে থাকুন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সরদার উধাম একজন বিপ্লবী, তিনি বন্দুক তুলে কাউকে গুলি করার জন্য নয়, বরং তার চিন্তার কারণে। মানুষের মনে করা উধাম, আমাদের একজন। সম্ভবত, আমার মধ্যে একজন সর্দার উধাম আছে’।