কোভিডের পর একটা সময় পর্যন্ত দর্শকরা হল বিমুখ ছিলেন। হলে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন। এমনকি OTT মাধ্যমের উত্থানের জন্য বদলে গিয়েছে তাঁদের স্বাদও। ভালো কন্টেন্ট না হলে ছবি মোটেই সাড়া পাচ্ছে না বক্স অফিসে। এমন সময় দাঁড়িয়ে প্রথম দিকে যে কটা ছবি তুমুল ব্যবসা করেছিল, সুপারহিট হয়েছিল সেগুলির অন্যতম হল বিবেক অগ্নিহোত্রীর দ্য কাশ্মীর ফাইলস। ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবি বক্স অফিসে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা করে। এরপরই নাকি একাধিক প্রযোজনা সংস্থা পরিচালকের কাছে আসেন এই ছবির দ্বিতীয় ভাগ বানানোর দাবি নিয়ে।
গলাট্টা প্লাসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বিবেক অগ্নিহোত্রী জানান একাধিক প্রযোজনা সংস্থা এবং নামজাদা সব তারকারা তাঁকে দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবির সিক্যুয়েল বানানোর কথা বলেছেন। তিনি তাঁর কথায় আরও দাবি করেন যে তাঁকে প্রযোজকরা ৩০০ কোটি টাকা পর্যন্ত অফার করেছেন এই ছবির জন্য। তবে নিজেকে সেই লোভ থেকে দূরেই রেখেছেন তিনি।
বিবেকের কথায়, 'আমি ওই ফাঁদে পড়তে চাই না। কাশ্মীর ফাইলসের পর প্রায় প্রত্যেক প্রযোজক সংস্থার তরফে আমায় ২০০-৩০০ কোটি টাকা দিতে রাজি ছিল। এমনকি একাধিক তারকারা আমায় ফোন করে জানিয়েছেন যে তাঁরা দ্য দিল্লি ফাইলস বা দ্য কাশ্মীর ফাইলস ২ হলে সেখানে অভিনয় করতে চান।'
আরও পড়ুন: 'ক্ষমতা থাকলে মণিপুর ফাইলস বানান', বিবেককে বিদ্রুপ নেটিজেনের, উত্তরে কী বললেন পরিচালক
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ফাইলসের জন্য ‘জাতীয় সংহতি রক্ষায় সেরা ছবি’-র সম্মান, মুখ খুললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী
তিনি আরও বলেন, 'আমি চাইলে টাকা কামানোর আশায় এই ছবিটা করতেই পারতাম, কিন্তু সেটা না করে একটা অল্প টাকার ছবি বানাই। গত ৫০ দিন ঘুমাইনি, সমানে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। পল্লবী (অভিনেত্রী পল্লবী যোশী, বিবেকের স্ত্রী) আর আমি সমানেই দৌড়ে যাচ্ছি। আমরা যতটা যা আয় করেছি এই দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার ছবিতে বিনিয়োগ করেছি। এটা না চললে আমি আবার আগের জায়গায় ফিরে যাব।'
প্রসঙ্গত দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবিটিতে মূলত ১৯৯০ সালে কাশ্মীরের হিন্দু পণ্ডিতদের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছিল, তাঁরা যে কাশ্মীর ছেড়ে দলে দলে পালিয়ে এসছিলেন সেটাই দেখানো হয়েছে। এখানে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, পল্লবী যোশী, প্রমুখকে। বক্স অফিসে ছবি হিট করলেও অনেকেই এটিকে প্রোপাগান্ডা ছবির আখ্যা দিয়েছিলেন সেই সময়।