গরম ভাতের সঙ্গে নানারকম ভর্তার জুড়ি মেলা ভার। বেগুন ভর্তা অতি পরিচিত একটি খাবার। গরম ভাতের সঙ্গে বেগুন ভর্তার স্বাদের কথা জানতে চাইলে অনেকেই বলবেন, এটা অসাধারণ বা এর তুলনাই হয় না। বিশেষত ভর্তা প্রেমীরা তো ভর্তা দিয়েই প্লেট ভর্তি ভাত নিমিষেই শেষ করে ফেলেন। জানেন কী অভিনেতা জ্যাকি শ্রফও বেগুন ভর্তার ভক্ত।
পুরনো এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জ্যাকি শ্রফ জানিয়েছিলেন, বেগুন ভর্তার প্রতি আলাদা ভালোবাসা রয়েছে তাঁর। এমনকী গ্রামের বাড়িতে ঘুটে সাজিয়ে একসময় বেগুন ভর্তা তৈরি করতেন, সেই গল্পই জানিয়েছেন। কীভাবে তৈরি হত?
প্রণালী:
বেগুন মাঝখান থেকে ছুরি দিয়ে সামান্য কেটে নিয়ে, তাতে লঙ্কা এবং রসুন ভরে নিতে হবে। তেল মাখিয়ে গ্যাসে হালকা আঁচ করে ঘুটে রেখে তাতে বেগুনটি রেখে দিন। পোড়া বেগুনের খোসা ফেলে দিয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন। পেঁয়াজ কিউব করে কেটে নিয়ে শুকনো লঙ্কা ছোট করে কেটে লবন দিয়ে একসঙ্গে চটকে নিন। পরে পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুচি, তেল, টমেটো সেদ্ধ আলতো হাতে মাখিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি মজাদার বেগুন ভর্তা।
বেগুনের ভর্তা কিন্তু বাংলার বাইরের সুস্বাদু পদ। তবে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ছাড়াও বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় বেগুন ভর্তা খাওয়া হয়। তবে জায়গার এবং অঞ্চলভেদে তৈরির পদ্ধতি খানিকটা আলাদা থাকে। বেগুনের ভর্তার সঙ্গে রায়তা খাওয়ার রীতি প্রচলিত। রুটি, পরোটা, লিট্টি, ডাল, বাটি, চুরমার সঙ্গেও এই পদ বানিয়ে খাওয়া হয়।
বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। যা নখের ভঙ্গুরতা রোধ করে। একথায়, শুষ্ক ত্বকের জন্য বেগুন খুবই উপকারী। ঠোঁটের কোণে ঘা সারাতে, ঋতুস্রাবের সমস্যা সমাধানে, হজম শক্তি বাড়াতে, চুল, নখ এবং ত্বককে মজবুত করতে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে, মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটাতে এমনকি ক্যান্সার প্রতিহত করতে এই সবজিটির জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত বেগুন খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। বেগুনে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে।