সম্প্রতি জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের নামে করা মানহানির মামলায় নিজের বয়ান রোকর্ড করেন নোরা ফতেহি। যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে, জ্যাকলিন তাঁর নামে মিথ্যা কথা ছড়িয়ে জনসাধারণের চোখে তার খ্যাতি কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। এবার এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করল শ্রীলঙ্কান সুন্দরীর আইনজীবীরা।
সোমবার নোরা দিল্লির একটি আদালতে তার বয়ান রেকর্ড করেন। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ওরা আমাকে গোল্ড ডিগার বলেছে এবং একজন কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার অভিযোগ এনেছে। আমি মনে করি এই ক্ষেত্রে মিডিয়াতে আমাকে বলির পাঁঠা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু লোককে রক্ষা করার জন্য। যেহেতু আমি একজন বহিরাগত তাই আমাকে সফট টার্গেট হিসেবে নেওয়া হয়েছে এবং আমি আমার কেরিয়ারের এই ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ চাই। জ্যাকলিন মিডিয়ার কাছে জানতে চেয়েছেন কেন ইডি আমাকে মামলার সাক্ষী হিসেবে এবং তাঁকে আসামি হিসেবে নিয়েছে। এই বিবৃতিটি আসলেই অপ্রয়োজনীয় হয়রানি, এবং ওর এই বক্তব্য আমার কাজ হারানো এবং সাইবার বুলিং এর দিকে পরিচালিত করেছে।’
এবার নোরার এই বক্তব্যের ভিত্তিতে সরব হলেন জ্যাকলিনের আইনজীবীরা, তাঁদের মক্কেলকে নিয়ে। কিক অভিনেত্রীর আইনজীবী, প্রশান্ত পাটিল তার ক্লায়েন্টকে আইনি ঝামেলায় টেনে আনার জন্য নোরার বিরুদ্ধে মুখ খুলে বলেন, আমার ক্লায়েন্ট উতেহির বিরুদ্ধে জনসমক্ষে কোনও বিবৃতি দেননি।
জানা গিয়েছে,এই মুহুর্তে জ্যাকলিনের আইনি দল আদালতের কাছ থেকে কোনও অফিসিয়াল তথ্য পাওয়ার অপেক্ষা করছেন। প্রশান্ত পাটিল বলেন, ‘আমরা আদালত থেকে কোনো অফিসিয়াল কাগজ পাইনি। তাই আমরা এই ধরনের কোনো খবর নিশ্চিত করতে পারছি না। শুধু এটা বলতে পারি যে জ্যাকলিন কখনও ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট বা সোশ্যাল মিডিয়ার কারও বিরুদ্ধে কোনও বিবৃতি দেননি। তিনি মামলার বিষয়ে সর্বদা একটি মর্যাদাপূর্ণ নীরবতা বজায় রেখে চলেছেনমষ। কারণ বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তবে তার মানে এই নয় যে কেউ চাইলেই তাঁকে যে কোনও অযৌক্তিক আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে টেনে নিয়ে যেতে পারে। যেখানে তিনি নির্দোষ।’
কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিন আর নোরা দুজনেই। এর আগে জ্যাকলিনের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, সুকেশের চর্চিত বান্ধবী (পড়ুন জ্যাকলিন)-র তরফে নাকি নোরার কাছে অনুরোধ গিয়েছিল মানহানির মামলা বা আদালতে না গিয়ে মুখোমুখি বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার। তবে তাতে সাড়া মেলেনি নোরার তরফে। নোরা বারবার দাবি করে আসছেন, সুকেশ তাঁকে প্রেমিক হওয়ার বদলে আর্থিক সুবিধে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তুি তিনি রাজি হননি। এদিকে, সুকেশ আর জ্যাকলিনের সম্পর্কে থাকার ঘটনা আজ আর অজানা নয় কারও। যা ইডিও মেনে নিয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনের বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ ছবিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।