বিশ্বজুড়ে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস COVID-19। চিনের গণ্ডি ছাড়িয়ে এখন গোটা ইউরোপে ঝাঁকিয়ে বসেছে এই মহামারী। এর মাঝেই লন্ডনে বাজির শ্যুটিং সারছিলেন জিত-মিমিরা। কিন্তু পরিস্থিতি এখন হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। ভারতে করোনা মোকাবিলায় বদ্ধ পরিকর কেন্দ্র সরকার। তাই সোমবার কেন্দ্র নির্দেশিকা জারি করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন,তুরস্ক, ব্রিটেন থেকে যাত্রীদের আসা নিষিদ্ধ করেছে। আগামী অর্থাত্ মার্চ ১৮ থেকে মার্চ ৩১ অবধি এই নিষেধাজ্ঞা লাগু থাকবে। তারপর পরিস্থিতি পুর্নবিবেচনা করা হবে। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি শ্যুটিং মাঝপথে ফেলে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন মিমি চক্রবর্তী, জিতরা। মঙ্গলবারই দেশে ফেরার কথা তাঁদের। বুধবার থেকে ভারতে প্রবেশের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে ৩৩ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের উপর।
সোমবার গভীর রাতে প্রযোজক তথা বাজির হিরো জিত ইনস্টাগ্রাম বার্তায় জানান, 'আমরা একটা দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। মহামারী করোনা বিশ্বজুড়ে মনুষ্যজাতির প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে, এটা একটা সাংঘাতিক আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বাজির শ্যুটিং বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের পুরো কাস্ট এবং ক্রু দেশে ফিরছে। আশা করি খুব শীঘ্র এই পরিস্থিতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসব। সুরক্ষিত থাকুন।'
করোনা কাঁটা উপেক্ষা করে লন্ডনের রাস্তায় শ্যুটিং সারছিলেন মিমি। সোমবার রাতে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সেই খবরও দেন নায়িকা। বাকিংহামশায়ারের রাস্তা থেকে মিমি লেখেন, 'আমরা সবাই ভালো আছি, এবং সুরক্ষিত থাকতে যা যা রাস্তা অবলম্বন করা যায় সবটাই করছি। আশা করি তোমরাও ভালো আছো। সুস্থ থাকুন এবং সতর্ক থাকুন, অনেক ভালোবাসা'। একটি ভিডিয়ো বার্তাও ইনস্টাগ্রামে দেন নায়িকা।
ভারতীয় সময়ানুসারে মঙ্গলবার দুপুরে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে দেশে ফেরার বিমানে উঠেছেন মিমি চক্রবর্তী।
জিত-মিমি ছাড়াও পরিচালক অংশুমান প্রত্যুষের এই ছবির শ্যুটিংয়ে লন্ডনে হাজির ছিলেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়রা। দেশে ফেরার পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ট্রাভেল অ্যাডভাইজারি অনুসারে প্রত্যেককেই কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে।