তারকাদের বিচ্ছেদ বা ডিভোর্স বারবারই চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে। জিতু-নবনীতার ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। ২৯ জুন সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন নবনীতা। তাঁর ফেসবুক পোস্ট মন ভেঙে দিয়েছিল অনেকেরই। অভিনেত্রী ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘টেবিলে আর দুটো করে প্লেট থাকবে না... একজনের জন্য বানানো গ্রিন টি আর দুজনে মিলে ভাগ করে খাওয়া হবে না… টাওয়াল শেয়ার হবেনা, সানস্ক্রিন ভাগাভাগি হবে না.… কিছুই আর একসাথে হবে না…আমরা দুজন দুজনের সাথে ভালো নেই.....প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায় এর ইতিটা নয় এইভাবেই হোক... ভালো থেকো জিতু কমল।’
তবে জিতু কিন্তু একবারও বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেননি। বরং নবনীতার সেই পোস্টের জবাবেও তিনি লিখেছিলেন, ‘তোমায় আগেও সামলেছি বাচ্চা বউ। পরেও সামলাব।’ যদিও পরে নবনীতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেন, বিগত তিন মাসের বেশি সময় ধরে তাঁরা আলাদা থাকছেন। ৬ মাস হয়ে গেলেই পেয়ে যাবেন ডিভোর্সের ডেট। আর তা খুব সম্ভবত সেপ্টেম্বরেই। মানে দুর্গাপুজোর আগেই আলাদা হয়ে যাবেন হয়তো জিতু আর নবনীতা।
নবনীতা যেখানে একাধিকবার ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুলেছেন, সেখানে অনেক চুপ জিতু। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পোস্ট দিচ্ছেন তিনি আজকাল, তাতেও ছাপ পড়ছে বিষাদের। ফলে জিতুর অনেক অনুরাগী মনেই প্রশ্ন জমেছে, ঠিক আছেন তো তিনি?
আনন্দবাজারের কাছে নবনীতার সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজিই হননি জিতু। পরিষ্কারভাবে বললেন, ‘আমি এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্যই করব না। আমি আমার স্ত্রী নবনীতার ব্যাপারে কোনও বদনাম করবও না আর শুনবও না। এখনও কিন্তু আমাদের আইনি বিচ্ছেদটা হয়নি।’
নবনীতাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আলাদা হয়ে যাচ্ছেন কারণ অনেকদিন ধরেই তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন একে অপরের সঙ্গে ভালো নেই। তবে কখনোই চান না মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যাক।
মাঝে জিতু-নবনীতার সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের নামজুড়ে হইচই জুড়েছিলেন নেট-নাগরিকরা। সেই সময় বাধ্য হয়েই ফেসবুক লাইভ করেন নবনীতা। স্পষ্ট করে বলেন, ‘এটা আমার আর জিতুর মিউচুয়াল ডিসিশন, আমাদের সম্পর্ক ভাঙার জন্য তৃতীয় ব্যক্তির কোনওরকম হাত নেই। জিতুর সঙ্গে অন্য সহ-অভিনেত্রীর নাম জড়ানো হচ্ছে। অনেক জায়গাতেই শ্রাবন্তীদির নাম টেনে কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে। এগুলো ঠিক নয়। শ্রাবন্তীদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো ।’