এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে টলিপাড়ার ‘ভাইরাল কাপল’ তাঁরা। 'পাওয়ার কাপল' বললেও বোধহয় ভুল হবে না। বিয়ের পর থেকে একে অপরে ডুবে রয়েছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। নিজের নতুন দাম্পত্যের কোনওকিছুই লুকিয়ে রাখছেন না টলিপাড়ার এই তারকা দম্পতি। তবে কাঞ্চন-শ্রীময়ী দুজনেই সম্প্রতি আজতক বাংলার কাছে র্যাপিড-ফায়ার রাউন্ডে নিজেদের নিয়ে ফাঁস করলেন বেশকিছু অজানা তথ্য।
সেই সব অজানা তথ্যগুলি কী?
প্রশ্ন ছিল ঘুম থেকে কে দেরিতে ওঠেন? এপ্রশ্নে প্রথমেই হাত তুলে দেন শ্রীময়ী। অর্থাৎ কাঞ্চন তাঁর থেকে আগে ঘুম থেকে ওঠেন। ঘুম থেকে উঠে কে ব্রাশ করতে ভুলে যায়। শ্রীময়ী চটপট বলেন, ‘কেউ না..ইশ ছিঃ ছিঃ’। কিন্তু বাড়ির দেখাশোনা কে বেশি ভালো করেন? এক্ষেত্রে কাঞ্চন চটজলদি শ্রীময়ীর দিকে আঙুল দেখিয়ে বলেন, ‘ও মানে শ্রীময়ী।’ মাঝে মধ্যে স্নান না করে থাকেন কে? শ্রীময়ী বললেন, ‘যদি শীতকালে কোথাও ঘুরতে যেতে হয় তাহলে ও (কাঞ্চনকে দেখিয়ে)…।’ কাঞ্চন অবশ্য় তখন মুখ টিপে হাসছিলেন।
এরপরই প্রশ্ন আসে, কার কাছে ইন্ড্রাস্ট্রির গসিপ-এর খবর থাকে। শ্রীময়ী তখন কাঞ্চনের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘আমরা দুজনের কেউ কখনও খুব একটা গসিপ করি না।’ কাঞ্চন অবশ্য সেসময় হেসে শ্রীময়ীর দিকে আঙুল দেখাচ্ছিলেন। শ্রীময়ী বলেন, ‘গসিপের খবর থাকে, তবে খুব বেশি চর্চা করি না, ওই আরকি’। কাঞ্চন একথায় বেশ মজা পেয়ে ফুট কেটে বলেন, ‘ওই আর কি…’। শ্রীময়ীর তখন সাফ কথা, ‘গসিপ করি তবে সেটা হেলদি গসিপ।’
নিজের কাজ করানোর জন্য tantrums বেশি করেন কে? একথায় কাঞ্চনের দিকে তাকিয়ে জোরে হেসে ওঠেন শ্রীময়ী। কাঞ্চন হেসে বলেন, ‘নো কমেন্টস।’ শ্রীময়ী তখন বললেন, ‘আমার নামটাই বলবে তো…।' বললেন, ‘ট্যানট্রামস নিজের মানুষের কাছে তো অল্প বিস্তর থাকবেই।’ কিন্তু জন্মদিনের মতো বিশেষ দিন ভোলার অভ্যাস কার বেশি থাকে? একথায়, কাঞ্চন অকপটে স্বীকার করে নেন, ‘আমি আমি আমি…। আমি সত্যিই মনে রাখতে পারি না। আর ওর তো সব ডেটই মুখস্থ।’ ফোন কিংবা মেসেজের উত্তর দেন না কে? একথায় শ্রীময়ী সরাসরি কাঞ্চনের দিকে আঙুল দেখিয়ে দেন।
ওয়ার্ক আউট কে মিস করেন? একথায়, সোজা সাপটা শ্রীময়ী কাঞ্চন বলেন, ‘এটা দুজনের কেউই করি না। শুধুই খেতে ভালোবাসি।’ অহেতুক টাকা নষ্ট কে করেন? শ্রীময়ী মেনে নিয়ে বলেন, ‘আমি। এতে কোনও সন্দেহ নেই। কলকাতার প্রায় সব জিমেই আমার মেম্বারশিফ আছে কখনও না কখনও। কিন্তু হয় না যাওয়া।’ আর কাঞ্চন তখন বলেন, ‘আর অন লাইনে কখন যে কী ঘরে ঢুকছে, বোঝা মুশকিল।’ শ্রীময়ী বলেন, ‘আমার যা আয়, তাই ব্যায়, কিছু সেভিংসে থাকে না।’
নাক কে ডাকে? একথায়, শ্রীময়ী কাঞ্চনের দিকে দেখিয়ে বলেন, ‘মারাত্মক’। কাঞ্চন বলেন, ‘মাঝে মাঝে’। ওমনি শ্রীময়ী খপ করে বরকে আটকে বলেন, ‘এই মিথ্যে কথা তুমি বলবে না একদম।’ কাঞ্চন তখন, ‘আসলে আমার নাকে…’।শ্রীময়ী অবশ্য কাঞ্চনকে এটার উত্তরই দিতে দিলেন না। বললেন, ‘এই কোনও অজুহাত নয়, নিজের নাক ডাকায় তুমি নিজে চমকে ওঠো। এরপর কী বলবেন…।’
এদিন কাঞ্চন বলেন, তিনি মাসকাবারি অর্থাৎ মুদিখানার বাজার তিনিই করেন। আর শ্রীময়ী করেন সবজি বাজার। কাঞ্চন আবার মাছ কিনতে যান। তবে বাকিটা যেমন প্রয়োজন হয়, যে পারে কিনে নেয়। এদিকে আবার কাঞ্চন বলেন, 'আমি খুব আন রোম্যান্টিক। শ্রীময়ীরই প্রথম আমার প্রেমে পড়ে। ওই সবসময় প্রেমে পড়ে।'