কঙ্গনা রানাওয়াত এবং মহারাষ্ট্র সরকারের টানাপোড়েন অব্যাহত । এবার নিজের বাসস্থান সংলগ্ন জমিতে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রাকে নোটিস পাঠালো বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশন ( BMC )। পুরসভা আইন (১৮৮৮) -র ৩৫ ( ১) ধারায় এবং ৪ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে জারি করা বিবৃতি অনুসারে পুরসভার অনুমোদিত জমিতে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে একাধিক অনৈতিক নির্মাণকার্য সম্পন্ন করার অভিযোগে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে, এই খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই কঙ্গনা রানাওয়াতের অফিস ভেঙে দিলেও জবাব দেওয়ার জন্যই অভিনেত্রীর প্রতিবেশী মণীশ মালহোত্রাকে সাতদিনের মধ্যে ওই নোটিসের জবাব দিতে হবে । তাঁকে জানাতে হবে অনৈতিক এবং অবৈধ একাধিক নির্মাণ মূলক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কেন শাস্তি হিসেবে পুরসভা ওই ভবনকে ভেঙে দেবে না । পুরসভার তরফে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বাসস্থান রূপে নির্মিত আবাসনকে কমার্শিয়াল কাজের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে । এছাড়াও অবৈধ ভাবে পাঁচিল তুলে আলাদা করে কেবিন নির্মাণ , একাধিক স্থানে এসি সিটের ব্যবহার ইত্যাদি সহ একাধিক নির্মাণ সাধিত হয়েছে যা আইনকে লঙ্ঘন করেছে বলেই দাবি বিএমসি আধিকারিকদের ।
নিজের আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকীর সহায়তায় কর্পোরেশনের তরফে ভাঙার কাজ শুরু হওয়ার পরেই হাই কোর্টে গিয়েছিলেন কঙ্গনা । গতকালই বোম্বে হাই কোর্টের নির্দেশে অভিনেত্রীর অফিস মণিকর্ণিকা ফিল্মস ভাঙার ওপর আপাতত স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে, যদিও বিএমসির দু ঘন্টারও বেশি সময় ধরে গতকাল কঙ্গনার অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে সেটিকে ধ্বংস্তূপে পালটে দিয়েছে। আজ কঙ্গনার পিটিশনের জবাবে বম্বে হাইকোর্টে হলফনামা জমা হয় বিএমসি। আগামি ২২ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সাথে তুলনা করে বিজেপির প্রাক্তন জোট সঙ্গী , অধুনা অন্যতম বিরোধী তথা মহারাষ্ট্র সরকারের অন্যতম শরিক শিবসেনার সাথে দ্বৈরথে জড়িয়েছেন কঙ্গনা । শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের কঙ্গনাকে মহারাষ্ট্রে পা রাখতে না দেওয়ার হুমকির পরেই , হিমাচল সরকারের আবেদনে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা পেয়েছেন অভিনেত্রী । তাঁর অফিস ভাঙতে আসার ঘটনাকে বাবর সৈন্যের রাম মন্দির আক্রমণের সাথে তুলনা করেন কঙ্গনা । এখন আপাতত তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শিবসেনার অধীনস্থ পুরসভা বিএমসির তরফে জারি করা নোটিসের ফলে জল কত দূর গড়ায় , সেই দিকেই তাকিয়ে দেশবাসী ।