কঙ্গনা রানাওয়াত প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘টিকু ওয়েডস শেরু’ এই শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিয়োতে। এখানে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এবং অভনীত কৌরকে। এটাই কঙ্গনার মণিকর্নিকা ফিল্মসের ব্যানারে আসা প্রথম ছবি হতে চলেছে। এই ছবিটি প্রযোজনা করার প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন একজন অভিনেতার কাছে এটা একটা স্বাভাবিক জিনিস যে কিছু বছর কাজ করার পর নিজের একটা প্রযোজনা সংস্থা বানাব।
কঙ্গনা এর আগেই পরিচালক হিসেবে ডেবিউ সেরেছেন। এবার পালা প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার। ‘মণিকর্নিকা: দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ ছবিটির মাধ্যমে তিনি পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। সেই ছবির প্রযোজনা করেছিল জি স্টুডিও। অন্যদিকে এই ‘টিকু ওয়েডস শেরু’ ছবিটির প্রযোজনা তিনি করলেও এটির পরিচালনা করেছেন সাঁই কবীর।
এই ছবিতে প্রযোজনা করার বিষয়ে কঙ্গনা পাঞ্জাব কেসরিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, 'শাহরুখ খান, অজয়, অক্ষয়ের মতো সমস্ত অভিনেতারা একাধিক ছবির প্রযোজনা করেছেন যেখানে তাঁরা নিজেরা অভিনয় করেছেন। কিন্তু যখনই সেই একই কাজ কোনও মহিলা করেন তখন সবার কাছে সেটা খুব নতুন, আনকোরা বিষয় বলে মনে করা হয়। আমার পরিচালকরা সবসময় তাঁদের সঙ্গে কোলাবোরেট করতে বলত। আমার মতামত চায় সমস্ত বিষয়ে। আর আমি এই ধরনের মানুষের সঙ্গেই কাজ করতে ভালোবাসি।'
একই সঙ্গে ‘টিকু ওয়েডস শেরু’র নির্মাণের প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন 'আমি নিজে এই ছবির তিনটি ড্রাফট বানিয়েছিলাম। আর সাঁই পাঁচটা। গান লেখার ক্ষেত্রেও আমি ৩ লাইন লিখলে ও তিন লাইন লিখত। সাঁই ভীষণই ভালো পরিচালক। কিন্তু যেহেতু গল্পটা আমার মাথায় ভীষণ ভাবে গেঁথে বসেছিল, আর অভনীত সিনে জগতে যেহেতু নতুন তাই ওকে একাধিক দৃশ্যে আমি সাহায্য করেছি। কারণ একজন মহিলাকে বোঝার বা ইমোশনালি গাইড একজন পুরুষ করতে পারেন না।'
কঙ্গনার নামে এর আগে বহুবার বিতর্ক উসকে গিয়েছে। অনেকেই বলেছেন অভিনেত্রী নাকি যে ছবিতে কাজ করেন তার পরিচালনার কাজে ভীষণ বাঁধা তৈরি করে। নিজের মতামত পোষণ করেন। সেই কারণেই মণিকর্নিকার মূল পরিচালককে দিয়ে তিনি তাঁর জায়গা নেন।
আগামীতে তাঁকে ‘এমারজেন্সি’ ছবিতে দেখা যাবে। এই ছবিতে অভিনয় থেকে শুরু করে পরিচালনা, প্রযোজনা সবই করেছেন কঙ্গনা। এখানে তিনি ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে দেখা দেবেন।