মা ববিতা কাপুরের জন্মদিনে বিশেষ শুভেচ্ছা জানালেন অভিনেত্রী করিনা কাপুর খান। ইনস্টাগ্রামের পাতায় একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বেবো। করিনার শেয়ার করে ছবিতে দেখা গিয়েছে, দিদার জন্য জন্মদিনে নিজের হাতে কার্ড বানিয়েছে ছোট্ট তৈমুর। সেই কার্ডে দিদা ববিতার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছে সে।
করিনার শেয়ার করা পোস্ট
অন্যদিকে, ছোট্ট জেহ-ও দিদা ববিতার জন্মদিনে নিজের হাতে কার্ড বানিয়ে উপহার দিয়েছে। দুই ছেলের হাতে বানানো কার্ডের ছবিও পোস্ট করেছেন করিনা। মা ববিতাকে আদুরে আলিঙ্গন করা ছবি পোস্ট করে ক্য়াপশনে লিখেছেন, ‘আমার পৃথিবীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা, আমার মা’। করিনার পোস্টে ববিতা কাপুরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকেই। অনিল কাপুর, ঋদ্ধিমা কাপুর সাহানি, অম্রুতা আরোরা সহ অনেকে পোস্টের কমেন্টে লাল হৃদয়ের ইমোজি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফাওয়াদ-রাহাত ফতেহ আলির সঙ্গে সাক্ষাৎ, পাকিস্তানে পার্টি মুডে মুমতাজ, ছবি না দেখলে মিস করবেন
রণধীর কাপুর এবং ববিতা কাপুর বিয়ে
১৯৭১ সালের ৬ নভেম্বর বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন রণধীর কাপুর এবং ববিতা কাপুর। ‘আজ অউর কাল’ ছবির মাধ্যমে সিনেমায় অভিষেক হওয়ার পরই বিয়ে সেরে ফেলেন রণধীর। ছবিতে রণধীরের বিপরীতে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ববিতা কাপুর। পরের বছর ‘জিত’ ছবিতে একসঙ্গে দেখা যায় দু'জনকে।
আরও পড়ুন: কোন রহস্যের সমাধান করবেন ‘ফেলুবক্সী’ সোহম, প্রকাশ্যে ছবির প্রথম ঝলক, মুক্তি কবে
রণধীর এবং ববিতা বিচ্ছেদ
১৯৮৮ সালে রণধীর এবং ববিতা আলাদা থাকতে শুরু করেন। হিন্দুস্তান টাইমসে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা রণধীর কাপুর জানিয়েছিলেন, তিনি প্রচুর নেশা করতেন এবং রাতে মদ্যপ অবস্থায় দেরি করে বাড়ি ফিরতেন। তাঁর এভাবে জীবনযাপন ববিতার একেবারেই পছন্দ ছিল না, যদিও তাঁরা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন আলাদা থাকার। এরপরই তিনি মা-বাবার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। ববিতার তাঁদের দুই মেয়ে করিশ্মা ও করিনাকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করে। বর্তমানে তাঁদের সন্তান সুপ্রতিষ্ঠিত। একজন বাবা হিসেবে এর থেকে বেশি তিনি আর কিছুই চান না, মন্তব্য রণধীরের।
আরও পড়ুন: জিনাতের 'লিভ-ইন' মন্তব্যে খচে লাল মুকেশ খান্না, বললেন, ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত…
করিনা-করিশ্মা-ববিতা প্রসঙ্গে
একা হাতে দুই মেয়েকে বড় করেছেন ববিতা কাপুর। বাবা-মায়ের সম্পর্ক যে জোরালো নয়, তা খুব অল্প বয়সে বুঝে গিয়েছিলেন করিশ্মা-করিনা। মোজো স্টোরিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে করিনা বলেছিলেন, তাঁর মা ববিতা কাপুর তাঁর সব থেকে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। তবে যখনই তাঁর বাবার প্রয়োজন হত, রণধীর কাপুর সবসময় পাশে থাকতেন চুপিসাড়ে, কাউকে সেটা বুঝতে দেননি। তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি সব সময় পিছনে থেকে সব কিছু সামাল দিতে ভালোবাসেন।