বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি আদৃত রায় আর কৌশাম্বি চক্রবর্তী। যদিও প্রেমের কথা স্বীকার করেননি কেউই। তবে টলিপাড়ার অন্দরের কানাঘুষো বলছে, খুব জলদি তাঁরা বসবেন বিয়ের পিঁড়িতে। ২০২৪ সালেই চার হাত এক হতে পারে!
ইদের দিনে একটি নতুন সেলফি শেয়ার করলেন কৌশাম্বি। পরে আছেন লাল কুর্তা। চুল বেনী করে বাঁধা। ফুলকি-র পারোমিতার লুকেই আসলে তোলা হয়েছে ছবিখানা। শুধু ‘বিধবার সাজ’ ছেড়ে পরেছেন লাল কুর্তাটি।
কৌশাম্বির সাজে মুগ্ধ তাঁর ভক্তরা। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘খুব সুন্দর লাগছে দিদি তোমাকে’। অপজন লিখলেন, ‘চোখ ফেরাতে পারছি না’!
আরও পড়ুন: ইদে নুসরত যেন নিষ্কলঙ্ক চাঁদ, বউকে ম্যাচিং করে সাজ যশের, ঈশানকে দেখতে উৎসুক নেটপাড়া
কদিন আগেই আদৃত-প্রিয়া এসেছিলেন দিদি নম্বর ১-এ। যেখানে রচনা প্রশ্ন করেছিলেন বিয়ে নিয়ে। বলেছিলেন, ‘সোশ্য়াল মিডিয়ায় কৌশাম্বির প্রচুর খবর পাই আমি। মিঠাই-এর পর থেকে ও একটু বেশিই ভালো আছে। অবসর সময়ে গান শুনছে। খুব গ্লো করছে…’
আরও পড়ুন: ইদে সলমনের বাড়ির বাইরে উত্তাল জনতা, চলল লাঠি, বাবা সেলিমকে নিয়ে বারান্দায় দাবাং
দিদির মুখে এমন কথা লজ্জায় ফেলে দিয়েছিল কৌশাম্বিকে। বলে উঠেছিল, ‘এসব তুমি কী করছ বলো তো’! এরপর পেটের থেকে কথা বার করতে রচনা বলে উঠেছিলেন, ‘খুব জলদি দিল্লি কা লাড্ডু খেতে চলেছে…’। তারপর অবশ্য হাল ছাড়তেই হয়েছিল কৌশাম্বিকে। বলেছিলেন, মনের মানুষ আছেন তাঁর মনে। সঙ্গে অবশ্য বাড়ির লোক যে তাঁদের সম্পর্ক জানে আর মেনে নিয়েছে, সেটাও বলে দেন রচনাকে।
আরও পড়ুন: সাদা কুর্তা-পাজামা, মাথায় বাঁধা ঝুঁটি, ইদের বিকেলে মন্নতের বারান্দায় শাহরুখ
আসলে মিঠাই ধারাবাহিক থেকেই আদৃত আর কৌশাম্বির সম্পর্কের শুরু। প্রথমে বন্ধুত্ব, তারপর ভালোবেসে ফেলেন একে-অপরকে। সিরিয়ালে দিদি-ভাইয়ের চরিত্রে ছিলেন তাঁরা। আদৃতের অনস্ক্রিন বউ ছিলেন সৌমিতৃষা কুণ্ডু। সেই সময় সৌমিতৃষার অনুরাগীরা, এই সম্পর্ক নিয়ে কম কাটক্ষ করেনি। অনলাইনে বেজায় কটুক্তি চলত কৌশাম্বিকে নিয়ে। এমনকী, অভিনেত্রীর বাবা কয়েকবার প্রতিবাদও করেছিলেন ট্রোলারদের কমেন্টে। যাতে অপমানিত হতে হয় অভিনেত্রীর বয়স্ক বাবাকে।
তবে মিঠাই শেষ হওয়ার পর থেকে অনেকটাই কমেছে ট্রোল। ধীরে ধীরে খোলস ভাঙছেন তাঁরা। কদিন আগে সেরা জা-এর সম্মান পেয়েছিলেন কৌশাম্বি তাঁর ফুলকি ধারাবাহিকে কাজের জন্য জি বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ডে। আর ট্রফি হাতে কৌশাম্বির ছবি নিজের ইনস্টা স্টোরিতে শেয়ার করে নিয়েছিলেন আদৃত। জানিয়েছিলেন শুভেচ্ছা।