টেলি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় মেগা ধারাবাহিক হল স্টার জলসার খড়কুটো। খুনসুটি-মজায় ভরপুর মুখোপাধ্যায় পরিবারের যৌথ পারিবারিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ধারাবাহিক। গুনগুন-সৌজন্যের খুনসুটি দর্শকদের মুগ্ধ করে। যদিও ধারাবাহিকে কয়েকদিন গুনগুনের আচরণে একের পর এক দোষারপ ওঠে তাঁর দিকে।
মূল ঘটনার সূত্রপাত বাড়ির নতুন সদস্য অর্থাৎ পুচু সোনাকে কেন্দ্র করে। মা হারা গুনগুন পুচুসোনাকে এতটাই ভালবাসে ফেলেছে কোথাও গিয়ে মিষ্টির থেকেও বেশি অধিকার দেখাচ্ছিল সে। যা মা হয়ে এত ভালবাসা মেনে নিতে পারছিলেন না বাড়ির অন্যান্যরা। আর এইসবের মধ্যেই বিগবিতণ্ডার মধ্যে গুনগুনের হাত থেকে মাটিতে ছিটকে পড়ে যায় ছোট্ট পুচুসোনা। হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি করতে হয় তাঁকে। এই ঘটনার জেরে সকলে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে গুনগুনের ওপর। গুনগুনকে কাঠগড়ায় তুলে দোষারোপ করতে শুরু করে সকলে।
এদিকে মেয়ের অপমানের কথা জানতে পেরে গুনগুনকে চিরদিনের জন্য মুখোপাধ্যায় বাড়ি থেকে নিয়ে চলে আসে তাঁর বাবা। তবে পরিবারের কেউ কিন্তু চাননি গাুনগুন বাড়ি থেকে চলে যাক। শিশুসুলভ গুনগুনকে এভাবে বারবার অপমানিত হতে দেখে ক্ষেপে উঠেছেন অভিনেত্রীর অনুরাগীরা। গুনগুনের অপমান সহ্য হচ্ছে না তাঁদের। খুব কষ্ট পেয়েছেন তাঁরা।
নিজের ভুল বুঝতে পেরে পুচু সোনার মা গুনগুনকে ফোন করেছে। বিষয়টা শুনে নিজের দোষগুলো মেনে নেয় গুনগুন। অনুশোচনার হয় তাঁর। ফোনে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমারই ভুল ছিল। নিজের সন্তান নিজের নিজেরই হয়। তাছাড়া আমি একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি যা নিজের তা নিজেরই থাকে,যা অন্যের নয় তা কখনও নিজের হতে পারে না।’ এবার গুনগুন কি ফিরে আসবে মুখোপাধ্য়ায় বাড়িতে? সেই কথাই ভাবাচ্ছে অনুরাগীদের।