সোম ও মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে লাইভ শো ছিল কৃষ্ণকুমার কুনাথের। যদিও আপামর সংগীত প্রেমীর কাছে তিনি পরিচিত কেকে হিসেবেই। তাঁর গান তাঁদেরকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে, প্রেমে পড়তে শিখিয়েছে। গানের জগতে তিনি বরাবরই পরিচিত ছিলেন ‘খাঁটি হৃদয়’-এর মানুষ হিসেবে। তাই তো লাইভ শো শেষ করেই সেই মানুষটার চলে যাওয়া বড় আঘাত!
১৯৯৯ সালে ‘পল’ গানের মধ্যে দিয়ে ডেবিউ করেন কেকে। মুহূর্তে জনপ্রিয়তা পায় সেই গান। স্কুল হোক বা কলেজের ফেস্ট-- এই গানটা ছাড়া যেন ভাবাই যেত না! তবে এটা বোধহয় কেউই কোনওদিন ভাবেননি কেকে-র গাওয়া শেষ গানও হবে এটাই। নিজেই গেয়ে যাবেন, ‘হাম রহে ইয়া না রহে কাল/ কাল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল।’ আরও পড়ুন: ‘বিকেলে দেখা হল, তখন পুরো সুস্থ! বলল, গান শুনতে এসো’, লিখছেন তোচন ঘোষ
কেকে-র কনসার্ট থেকে তাঁর শেষ গান এখন তুমুল ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। গায়কের অনুরাগীরা চোখের জলে বারবার শুনছেন তা। একজন টুইটারে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন, ‘কেকে আমার প্রিয় গান গাইল। আর গাইবে না এটাই তো ভাবতে পারছি না।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘জীবনটা কি অদ্ভুত না, এই গানটাই ওঁর গাওয়া শেষ গান হয়ে থেকে গেল। ভগবান কি এটাই চেয়েছিলেন?’ আরও পড়ুন: ‘নজরুল মঞ্চে ভিড় হলে কী হয়, সে অভিজ্ঞতা আছে’, কেকে-র মৃত্যু নিয়ে রূপম ইসলাম!
রাত ন'টা নাগাদ মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে ধর্মতলার গ্র্যান্ড হোটেলে পৌঁছান গায়ক। সেখানেই হোটেলকর্মীদের অসুস্থতার কথা জানান। হোটেল সূত্রে খবর, রুমে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিল্পী। দ্রুত সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এমার্জেন্সি বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূ্ত্রে খবর, ঠোঁটে চোট আছে গায়কের। তাঁকে সহকর্মীরা জানিয়েছেন, বমি করেছিলেন গায়ক। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যু হওয়ায়, ময়নাতদন্ত হবে কেকে-র মরদেহের। তবে মনে করা হচ্ছে ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের জেরেই মৃত্যু হয়েছে গায়কের।