হুট করে প্রিয় তারকাকে কাছে পেলে সেই দৃশ্য ফ্রেমবন্দি করে রাখত চায় সকলেই। কেউ সেই ডাকে সাড়া দেন, আবার কেউ এড়িয়ে যান তবে অনেক সেলেব্রিটি মেজাজ হারিয়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন। অতীতে সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তকে চড় মেরেছেন জন আব্রাহাম, ফোন কেড়ে নিয়েছেন সলমন। এবার এক যুবককে কষিয়ে চড় মারলেন ‘ওয়েলকাম’ অভিনেতা। সেই ভিডিয়ো সোশ্যালে ছড়িয়ে পড়তেই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে তুলোধনা করছেন নেটিজেনরা।
ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গেল বাদামি রঙা ব্লেজার এবং টুপিতে শ্যুটিং ফ্লোরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন নানা। শটের প্রস্তুতি চলছে। বেনারসে চলছিল তাঁর আসন্ন ছবি ‘জার্নি’র শ্যুটিং। সেখানেই পাশে দাঁড়ানো এক যুবক হুট করে নানার পাশে গিয়ে সেলফির আবদার করে, রেগে গিয়ে তাঁকে মাথায় জোরে চাঁটি মারেন। পরে সেটের অপর এক সদস্য ওই যুবককে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেয়।
এর জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘খলনায়ক’ নানা। একজন লেখেন, ‘আম জনতাই এদের মাথায় চড়িয়েছে। ভগবানের আসনে বসিয়েছে এইসব ক্রিকেটার আর অভিনেতাদের। তার পরিবর্তে আমরা কী পাচ্ছি? চড় আর ঘাড় ধাক্কা, লজ্জাজনক’। অপর একজন লেখেন, ‘২৬/১১ মুম্বই অ্য়াটাক ছবির শেষে এই লোকটা এমনভাবে কথা বলছিল যেন ওর চেয়ে বড় দেশভক্ত আর কেউ নেই, কিন্তু দেখুন এর আসল চেহারা। সাধারণ মানুষের সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহার সত্যি লজ্জাজনক’। স্টারডম থাকলেই নয় না, মনুষ্যত্ব থাকতে হয়, নানাকে উপদেশ নেটিজেনদের।
কিন্তু আসল ঘটনা সামনে আসতেই হাত কামড়াচ্ছে অনেকে। গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন জার্নির পরিচালক অনিল শর্মা। তিনি আজ তক-কে জানান, এই মিডিয়ায় এই নিয়ে লেখালেখি শুরু হতেই বিষয়টি গোচরে আসে তাঁর। এই ঘটনায় তাজ্জব তিনি। কারণ নানা কারুর গায়ে হাত তোলেননি, বরং সেটি তাঁর ছবির দৃশ্য। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কী বলব! এটা আমার ছবির দৃশ্য। সিন অনুসারে ওই যুবক (জুনিয়ার আর্টিস্ট)-এর মাথায় চাঁটি মারার কথা নানার। সেটাই ঘটেছে। রাস্তায় লোক জনেরা ওই ভিডিয়ো ফোনে তুলে ভাইরাল করেছে। উনি খুব ভালো মানুষ’।
এই অহেতুক বিতর্ক নিয়ে নানা পাটেকর কোনও মন্তব্য করেননি। জার্নিতে নানা ছাড়াও দেখা মিলবে গদর ২ তারকা উৎকর্ষ শর্মার। শেষ নানা পাটেকরকে দেখা গিয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রীর ভ্যাকসিন ওয়ারে। নানা পাটেকরকে নিয়ে অতীতেও বিতর্ক কম হয়নি। এর আগে মিটু বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল বর্ষীয়ান অভিনেতার। বাঙালি নায়িকা তনুশ্রী দত্ত তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। তনুশ্রী ২০১৮ সালে দাবি করেছিলেন, হর্ন ওকে ছবির শ্যুটিংয়ে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন নানা পাটেকর।