বৃহস্পতিবার ঘোষিত হয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। যে কোনও শিল্পীর জীবনের স্বপ্ন জাতীয় মঞ্চে এই সম্মান পাওয়ার। ৬৯তম জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে এবার সেরা অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। লক্ষ্মণ উতরেকরের মিমি ছবির জন্য এই সম্মান পেয়েছেন অভিনেত্রী। ‘গঙ্গুবাই’ আলিয়ার সঙ্গে এই পুরস্কার ভাগ করে নিয়েছেন কৃতি।
সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে কৃতি শ্যানন
জাতীয় পুরস্কার জয়ের পর সব মহল থেকে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা ভাসছেন নায়িকা। পুরস্কার জয়ের পর শনিবার সকালে গণপতি বাপ্পার আশীর্বাদ নিতে সপরিবারে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন কৃতি। পবিত্র স্থানে আশীর্বাদ নেওয়ার সঙ্গে অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা-মা এবং বোন নুপুর শ্যাননও। অভিনেত্রীর পরিবারের সঙ্গে মন্দিরে আসার বেশ কিছু ভিডিয়ো ও ছবি ভাইরাল হয়েছে। আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক সারমেয় দিবস: পোষ্যকে নিয়েও দেশ ভ্রমণ করেছেন অনেকে, জানুন মন ভালো করার গল্প
একই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘আমি খুব উত্তেজিত, আবেগপ্রবণ, বিশ্বাস করতে পারছি না, এইমাত্র যা ঘটেছে। এখনও এটায় ডুবে আছি। নিজেকে চিমটি কাটছি। আমার পুরো পরিবারের জন্য একটি বড় মুহূর্ত। আসলে, মিমি একটি খুব বিশেষ চলচ্চিত্র এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। আমার অভিনয় এই পুরস্কারের যে যোগ্য, জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার জন্য, আমি শুধু জুরিকে যথেষ্ট ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি বাকরুদ্ধ।’।
‘মিমি’ ছবিতে সারোগেট মাদারের চরিত্রে দেখা মিলেছিল কৃতির। আলিয়ার সঙ্গে এই সম্মান ভাগ নিতে পেরে গর্বিত অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘অভিনন্দন আলিয়া! তুমি এই সম্মানের যোগ্য! আমি তোমার ভক্ত, খুব উত্তেজিত এই পুরস্কার তোমার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে।’
কৃতির এই ভালোবাসার জবাবে আলিয়া লেখেন- ‘আমার মনে আছ যেদিন মিমি দেখি তোমায় মেসেজ করেছিলাম। খুব সৎ প্রচেষ্টা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্স… আমি খুব কেঁদেছিলাম ওইদিন। তুমি এই সম্মানের যোগ্য… এইভাবেই জ্বলে ওঠো। এই বিশ্ব তোমার…’।
কৃতি ছাড়াও, পঙ্কজ ত্রিপাঠিও ‘মিমি’-এর জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন লক্ষ্মণ উতেকর এবং প্রযোজনা করেছেন দিনেশ ভিজান।