পোষা প্রাণী শুধু সঙ্গী নয় বরং পরিবারের সদস্য হয়ে ওঠে। পোষ্যের বাবা-মায়েরা যখন তাঁদের নিয়ে দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করে সে যেন এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। পোষ্যদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়া নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার সমান।
উত্তরাখণ্ডের এক দম্পতি তাভিশ পন্ত এবং তুইশা ভাট তাঁদের তিন প্রিয় পোষ্য কুকুর- আইভি, বেলা এবং জুরির সঙ্গে দেশের নানা প্রান্তে ভ্রমণ করেছেন। উত্তর ভারত অন্বেষণের অসংখ্য অবিস্মরণীয় মুহুর্ত রয়েছে তাঁদের। তুইশা ভাটের কথায়, ‘আমাদের ল্যাব্রাডর, আইভি জল খুব ভালোবাসে। লাদাখের মন্ত্রমুগ্ধ প্যাংগং লেক দেখে ও আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছিল’। আরও পড়ুন: মা লক্ষ্মীর কৃপা থাকে এই নামের ব্যক্তিদের উপর, জীবনে অভাব হয় না অর্থের
অন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্প রয়েছে, ঝাড়খণ্ডের বানজারা বয় নামে পরিচিত শিব শঙ্করের। অনুগত কুকুরের সঙ্গী রাগনারের সঙ্গে সারা দেশে দু'বছরের যাত্রা শুরু করেন। মহামারীর থেকে সৃষ্ট নানা চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে শিব শঙ্কর তাঁর সারমেয়র থেকে সান্ত্বনা এবং অনুপ্রেরণা খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁর কথা, ‘রাগনার (সারমেয়র নাম)কে বাড়িতে নিয়ে আসার পর অনেক কিছু থেকে যে বিরক্তি বোধ তৈরি হতো তা থেকে শান্তি পেয়েছিলাম। লকডাউন শেষ হলে রাগনারের সঙ্গে ভ্রমণ করতে যাবো ভেবেছিলাম’।
তিনি আরও জানিয়েছেন, অসাধারণ যাত্রায় তাঁরা উপভোগ করেছে ঘন জঙ্গল এবং নির্মল মন্দিরের মাঠে থেকে সকলের সঙ্গে খাবার ভাগ করে নেওয়া। বলেছেন, ‘দুই বছর ধরে, আমরা এভাবেই বেঁচে ছিলাম। আমরা প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি এবং ধীরে ধীরে আমরা ভারত জুড়ে ভ্রমণ করেছি। আমরা এখন দেশের প্রতিটি কোণে কভার করেছি। আমরা একটি স্কুটিতে শুরু করেছি, কিন্তু এখন আমরা একসঙ্গে একটি বাইকে ভ্রমণ করি। রাগনারের সঙ্গে আমার দুঃসাহসিক যাত্রা সত্যিই পরিপূর্ণ হয়েছে’।
কেরালার এক দম্পতি গৌথম গোবিন্দ এবং লক্ষ্মী বালাচন্দ্রন, তাদের পশম বন্ধু ব্রুস (একটি বিগল) এবং টিনটিন (একটি ইন্ডি) এর সঙ্গে অসংখ্য দুঃসাহসিক যাত্রা করেছেন। তাঁদের জন্য যাত্রাটি কেবল ভ্রমণ সম্পর্কে নয়, তাঁদের পোষা প্রাণীদের সঙ্গে বিশ্ব অন্বেষণ করার সময় অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা তৈরি করাও বটে।