বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Main Koi Aisa Geet Gaoon: ‘ম্যায় কোয়ি এয়সা গীত গাঁউ’ গানের জন্ম মুহূর্তে যতীন-ললিত ও জাভেদ আখতার, দেখুন…

Main Koi Aisa Geet Gaoon: ‘ম্যায় কোয়ি এয়সা গীত গাঁউ’ গানের জন্ম মুহূর্তে যতীন-ললিত ও জাভেদ আখতার, দেখুন…

যতীন-ললিত ও জাভেদ আখতার

যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, জাভেদ আখতার জানিয়েছেন সিনেমার চিত্রনাট্য লেখা তুলনামূলক কঠিন। তুলনায় গান লেখা অনেকটাই সহজ। একটা গান কয়েক ঘণ্টাতেই লেখা সম্ভব। এরপরই ক্যামেরা ঘুরে যায় জাভেদ আখতার ও যতীন-ললিতের দিকে। তখন তাঁদের হাত ধরে জন্ম হচ্ছে ‘ম্যায় কোয়ি এয়সা গীত গাঁউ’ গানটি।

একদিকে তিনি চিত্রনাট্যকার, আবার তিনি গীতিকারও। সুরকার ভাতৃদ্বয় যতীন-ললিতের জন্য বহু গান লিখেছেন জাভেদ আখতার। তারই মধ্য অন্যতম ১৯৯৯-এ মুক্তি পাওয়া 'ইয়েস বস' ছবির ‘ম্যায় কোয়ি এয়সা গীত গাঁউ’ গানটি। তবে এমনি এমনি কোনও গান তৈরি হয়ে যায় না, অনেকসময়ই তার পিছনেও থাকে ইতিহাস, অনেক স্মৃতি। তেমনই নস্টালজিয়ায় ভেসে ‘ম্যায় কোয়ি এয়সা গীত গাঁউ’ গানটি তৈরির মুহূর্ত সকলের সামনে এনেছেন সুরকার ললিত পণ্ডিত।

ললিত পণ্ডিতের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা পুরনো ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক মধ্য বয়স্কা মহিলার সঙ্গে যতীন-ললিতের বাড়িতে পৌঁছোন জাভেদ আখতার। ভিডিয়োটির ব্যাকগ্রাউন্ডে শোনা যাচ্ছে এক মহিলার গলা। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, জাভেদ আখতার জানিয়েছেন সিনেমার চিত্রনাট্য লেখা তুলনামূলক কঠিন। তুলনায় গান লেখা অনেকটাই সহজ। দিনে তিনি ১৪-১৫টির বেশি দৃশ্য লিখতে পারেন না, তাই চিত্রনাট্যের থেকে গান লিখতেই বেশি পছন্দ করেন। সেটা কয়েক ঘণ্টাতেই লেখা সম্ভব। এরপরই ক্যামেরা ঘুরে যায় জাভেদ আখতার ও যতীন-ললিতের দিকে। তখন তাঁদের হাত ধরে জন্ম হচ্ছে ‘ম্যায় কোয়ি এয়সা গীত গাঁউ’ গানটি। কিছু কথা জাভেদ লিখছেন, তার সঙ্গে মিলিয়ে সুর করছেন যতীন-ললিত। যিনি সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন তিনি জাভেদ আখতারকে প্রশ্ন করেন, তাঁর নিজের লেখা পছন্দের গান কোনটি? উত্তরে জাভেদ আখতার জানান, এই মুহূর্তে যেটি তৈরি হচ্ছে। ভিডিয়োতে যতীন-ললিতের সুরে সুর মিলিয়ে নিজের লেখা গানটি গাইতেও শোনা গিয়েছে জাভেদ আখতারকে।

ভিডিয়োটির নিচে কমেন্টে অনেকে লিখেছেন, কেউ লিখেছেন, ‘খাঁটি সোনা’, কেউ লিখেছেন 'খাঁটি সময়', কারোর মন্তব্য, ‘এরাঁ হলেন খাঁটি রত্ন’। ৯-এ। দশকে যতীন-ললিতের সুরে তৈরি হয়ে বহু জনপ্রিয় হিট গান। তার মধ্যে অন্যতম 'দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে যায়েঙ্গে', ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘কভি খুশি কাভি গম’, ‘জো জিতা ওহি সিকান্দার’, ‘ইয়েস বস’ সহ আরও বহু জনপ্রিয় সুপারহিট গান। যদিও পরবর্তী সময়ে দাঁড়িয়ে ভেঙে যায় ভাতৃদ্বয় যতীন-ললিত জুটি। ২০০৬ সালে আমির-কাজলের 'ফানা' ছবিতে শেষবার সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন এই জুটি। তাঁদের বিচ্ছেদের খবরে সকলেই অবাক হয়ে যান। জানা যায়, নিজেদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ার কারণেই তাঁরা আলাদা হয়ে যান। ললিত পণ্ডিত বলেছিলেন, তিনি ক্যাপ্টেন ছিলেন, তাই তিনি কখনও কিছু পরিবর্ত আনতে বললে যতীনের অনেকসময়ই সেটা ভালো লাগত না। বলেছিলেন, এখন স্বাধীনভাবে কাজ করে তিনি খুশি।

বন্ধ করুন