সম্প্রতি রাজস্থানের সমাবেশে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য ঘিরে তীব্র চর্চা হচ্ছে, বিতর্কও হচ্ছে। বিরোধীরা এটা নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করতেও ছাড়ছেন না। তবে সেই 'মুসলিম কোটা'মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই সমর্থন করলেন লারা দত্ত।
ঠিক কী বলেছেন লারা?
নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন করে লারা বলেন, ‘এভাবেই বিশ্বাস ধরে রাখতে হবে। আখেরে আমরা সবাই মানুষ। সব সময় সবাইকে খুশি করা যায় না। অভিনেতারা যেমন নেটদুনিয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার হন, তেমনি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীও এর বাইপে নন। আমরা সবাই আমাদের মতো করে পদক্ষেপে গ্রহণ করি। আপনি কেবল বিতর্ক এড়াতে সবসময় সকলকে খুশি করে চলতে পারবেন না। শেষ পর্যন্ত, আপনাকে নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং বিশ্বাসের প্রতি সততা রাখতে হবে। এই সৎ সাহস যাঁর আছে তাঁকে কুর্নিশ জানাই। শেষ পর্যন্ত আপনি যা বিশ্বাস করেন সেটার পক্ষেই দাঁড়াতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী কী বলেছেন? কেন বলেছেন?
সম্প্রতি ভোট প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কোন শ্রেণির হাতে কত ক্ষমতা আছে, সেটা আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করে দেখবে।’ রাহুল গান্ধীর সেই মন্তব্যের পাল্টা হিসাবেই মোদী বলেন, ‘কংগ্রেস (প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং) যখন সরকারে ছিল, তখন ওরা বলেছিল, দেশের সম্পদের ওপর মুসলমানদের অগ্রাধিকার রয়েছে। আর সেই কারণেই সমীক্ষা করার কথা বলছে কংগ্রেস। যাতে ওরা ক্ষমতায় এলে আপনার কষ্টার্জিত অর্থ যাঁদের বেশি সন্তান আছে তাঁদের (মুসলিমদের) মধ্যে কিংবা অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়। আপনি কি মনে করেন আপনার কষ্টার্জিত অর্থ অনুপ্রবেশকারীদের দেওয়া উচিত?’
মোদীর ও লারা
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেই বক্তব্যকেই সমর্থন করেন লারা। তাঁর কথায়, 'মানুষ সব সময় বলবে এটাকে প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার)ই বলবে। তবে আমরা যখন হলিউড সিনেমা দেখি বা জিরো ডার্ক থার্টি দেখি , তখন কিন্তু সেসব নিয়ে কথা বলি না। তাহলে কেন আমরা সবসময় আমাদের দেশের বিষয়গুলিতেই এগুলো বলব?
প্রসঙ্গত, কাজের ক্ষেত্রে লারাকে খুব শীঘ্রই 'রণনীতি: বালাকোট অ্যান্ড বিয়ন্ড' (Ranneeti: Balakot & Beyond)-এ দেখা যাবে। এছাড়াও নীতিশ তিওয়ারির রামায়ণ-ও কাজ করছেন লারা।