কাজ শুরুই হয় রাতে, যখন শেষ হয় তখন প্রায় মাঝরাত। তাই বার সিঙ্গার, ডান্সারদের নিয়ে সমস্যাটা বেশ গুরুতর। অনেকসময়ই তাঁদের বাড়ি ফেরার পথে পুলিশি হেনস্থার মুখেও পড়তে হয়। সাম্প্রতিক, বেশকিছু ঘটনার কথা মাথায় রেখে নেওয়া হতে চলেছে বিশেষ পদক্ষেপ। বার সিঙ্গারদের জন্য আসতে চলেছে কিউআর কোড সহ পরিচয় পত্র। আর এটা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে লাইভ ব্যান্ড অর্গানাইজার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
রাজ্য সরকারের কাছে লাইভ ব্যান্ড অর্গানাইজার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আবেদন, যাত্রাশিল্পীদের যেমন স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, তেমনই বার সিঙ্গার, ডান্সারদেরও স্বীকৃতি দেওয়া হোক। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশিস দাস ও চেয়ারম্যান বাদল সরকারের কথায়, শুধু কলকাতাতেই এমন বারের সংখ্যা ৮০-র কাছাকাছি। আর শুধু বার সিঙ্গার, ডান্সাররা নয়, লাইট, সাউন্ড, সহ সব মিলিয়ে মোট দেড় লক্ষ মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, কার্ড হোল্ডারদের ছবি, ফোন নম্বর ছাড়াও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসাবে তাঁদের আইডেন্টিটি নম্বর এবং কিউআর কোড থাকবে। যা স্ক্যান করে জেনে নেওয়া যাবে কার্ড হোল্ডার কোন বারের সদস্য।
এদিকে সম্প্রতি এক বার সিঙ্গারকে রাতে কাজ সেরে ট্যাক্সিতে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশি জেরার মুখে পড়তে হয়। তিনি কোথা থেকে ফিরছেন? কোথায় যাচ্ছেন? কী কাজ করেন? এমনকি তাঁর কাছে এত টাকা কোথা থেকে এল তা নিয়েও নাকি তল্লাশির মুখে পড়তে হয়। ওই বার সিঙ্গার জানান অতিথিরা খুশি হয়ে তাঁকে এই টাকা দিয়েছেন। রশিদ চাওয়া হলে, তিনি জানিয়ে দেন এই টাকার কোনও রশিদ হয় না। তবে মহিলার কোথায় পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য না মনে হওয়ায় তাঁকে কোথা থেকে ট্যাক্সিতে তোলা হয়েছে, তা নিয়ও ট্যাক্সি চালককে প্রশ্ন করা হয়। তারপর হোটের ম্যানেজারকে ফোন করে তবেই নাকি ছাড়া হয় ওই বার সিঙ্গারকে। পুলিশ জানিয়েছে ওই মহিলাকে রাত ১টারও পর বাইপাসের ধারে বেশকিছু টাকা সমেত ট্যাক্সিতে পাওয়া যায়। অতরাতে এভাবে কোনও মহিলাকে দেখে যাচাই না করে কীভাবে ছাড়া সম্ভব!
হ্যাঁ, দুই পক্ষের যুক্তিই সঠিক। পুলিশ পুলিশের কাজ করেছে। আবার ওই বার সিঙ্গারেরও মনে হয়ে তিনি অকারণেই হেনস্থার মুখে পড়েছেন। আর সেকারণেই কিউআর কোড সহ বার সিঙ্গারদের পরিচয় পত্র থাকলে দুপক্ষের ক্ষেত্রেই বিষয়টা অনেক সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।