নির্বাচনী আবহে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মুখে এখন শুধুই শোনা যাচ্ছে প্রতিশ্রুতির বন্যা। ভোটে জিতলে সাংসদ হিসেবে প্রথম কী কাজ করবেন সেই প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন প্রার্থীরা। হুগলির তৃণমূল প্রার্থী তথা ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রিয়েলিটি শোয়ের সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, লোকসভাতে জয়ী হলেই হুগলির মহিলারা দিদি নম্বর ওয়ানে ডাক পাবেন আগেভাগে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এরকম প্রতিশ্রুতি পরেই তীব্র কটাক্ষ করেছেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ‘রচনার কোনও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই’ বলেই সমালোচনা করেছেন তাঁর এককালের বন্ধু লকেট।
আরও পড়ুনঃ ‘ভাঙন রোধে টাকা দেয়নি কেন্দ্র’, কেন্দ্রকে আক্রমণ রচনার, পালটা তোপ লকেটের
কী বলেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়?
সিঙ্গুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি যদি বিজয়ী হই তাহলে সব থেকে বড় কাজ যেটা হবে সেটা হল আমি জি বাংলার সঙ্গে বসবো। বসে বলব হুগলির দিদিদের আগে ডাকো। আমি বলব যদি আমাকে দিদি নম্বর ওয়ান করতে চাও তাহলে হুগলির যে মানুষরা আমাকে জিতিয়েছে সেই হুগলি জেলার মানুষদের আগে ডাকো। তারপরে সব দিদিরা আসবে। আমি সব রকম ভাবে চেষ্টা করব। হুগলি জেলা থেকে অনেকেই দিদি নম্বর ওয়ানে এসেছে।’
এরপর দোলের দিন ভদ্রেশ্বরে নির্বাচনী প্রচারে যান বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে রচনার প্রতিশ্রুতি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখে শুনতেই হেসে ফেলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মানুষ দিদি নম্বর ওয়ান চায় না। মানুষ শিল্প চায়, কর্মসংস্থান চায় কৃষি যায়। মানুষ সুরক্ষা চায়।’
লকেট আরও বলেন, ‘টিভিতে গিয়ে দিদি নম্বর ওয়ানে গিয়ে কি হবে। দিদি নম্বর ওয়ান একটা অভিনয়ের পাঠ।’ এরপরেই তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে যে সমস্যা, দুর্নীতি তা মানুষ চায় না। মানুষ তোলাবাজি, সিন্ডিকেট চায় না। লুটেরারাজের সরকার চায় না।’
রচনাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘আমার লজ্জা লাগে এখানে তৃণমূল এরকম একজনকে প্রার্থী করল যার কোনও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। এটা খুব খারাপ লাগে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘হুগলির মানুষ যথেষ্ট শিক্ষিত, অনেক সতর্ক। এটা অনেক পুরনো জায়গা। কোনটা রাজনীতি আর কোনটা অভিনয় সেটা হুগলির মানুষ বিচার করবে।’ প্রসঙ্গত, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন পুরোদস্তুর রাজনীতিতে আসছেন না, দু-নৌকায় পা দিয়ে চলছেন, সেই নিয়েও বিজেপির তরফ থেকে কটাক্ষ করা হয়েছে।