রাজনীতিবিদ হিসেবেই মূল পরিচিতি মদন মিত্রের। তবে তাঁর রঙিন মেজাজ দল নির্বিশেষে হিট সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এখন তো রারজনীতির প্রাঙ্গন ছেড়ে পা রেখেছেন বড় পর্দায়। মুখে সারাক্ষণ তাঁর একটাই বুলি, ‘ওহ লাভলি’। যা প্রতিটা লাইনের শেষে জুড়ে দিচ্ছেন। কেন? শুক্রবার থেকে হলে বেশ রমরমিয়েই চলছে পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর ছবি ‘ওহ লাভলি’।
তা নিজের প্রথম সিনেমা নিয়ে কি একটু টেনশনে মদন? সেরকম তো লাগল না একেবারেই। বরং বেশ খোশমেজাজেই পাওয়া গেল কামরাহাটির বিধায়ককে। সকাল-সকাল সিল্কের সাদা পঞ্জাবি আর ধুতিতে সেজে চলে আসেন বিধানসভায়। গলার কাছে আবার সবুজ সুতোর কাজ। বিধানসভায় এদিন মদন পা রাখতেই ঢল শুভেচ্ছাবার্তার। মদনের সাফ বক্তব্য, ‘আমার কোনও টেনশন নেই। সবাই শুভেচ্ছা জানাল। ওহ লাভলি।’
বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান ডানলপের সোনালি সিনেমা হলে। হলের বাইরে মদনকে দেখে ছেঁকে ধরে আমজনতা। চলতে থাকে সেলফি তোলার আবদার। আর সবটা বেশ হাসি মুখেই সামলালেন তিনি। বলে উঠলেন, ‘লোকের উন্মাদনা দেখে মনে হচ্ছে যেন শোলে রিলিজ করেছে। দারুণ অভিজ্ঞতা। নানা জায়গা থেকে যা খবর আসছে তাতে একাধিক জায়গায় শো হাউজফুল। ৩৫টি হলে মুক্তি পেয়েছে ছবিখানা।’
ওহ লাভলি সিনেমায় মদনের চরিত্রের নাম সুবিমল রায়। তিনি নায়িকার বাবা। সিনেমার গল্প অনুযায়ী, বাবার চাষাবাদ, ব্যবসা ফেলে শহরে চাকরির সন্ধানে এসেছে গ্রামের ছেলে ঋক। এখানে এসেই প্রেমে পড়ে বড়লোক বাড়ির মেয়ে রাজনন্দিনীর। নায়িকা আপ্রাণ চেষ্টা করছে চাকরির, কারণ বাবা দুবাইয়ের এক বড়লোকের ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে দিতে যায়। চাকরির প্রথম ইন্টারভিউ দিতে গিয়েই হয়ে যায় প্রেম। প্রথম দেখাতেই টুরু লাভ। তবে প্রেম খাঁটি হলেও চাকরি জোটাতে পারে না ঋক। তাহলে কি রাজনন্দিনীর বাবা বিয়ে দিয়ে দেবে মেয়ের অন্য ছেলের সঙ্গে। পূর্ণতা পাবে না রাজনন্দিনী আর ঋকের প্রেম?
এদিকে অভিনেতা মদনের প্রশংসা হরনাথের মুখে। জানালেন, ‘উনি পাকা অভিনেতার মতো কাজ করেছেন। মদনদাকে পেয়ে সেটেও সবাই খুব উৎসাহে কাজ করেছে সেটে।’
আপাতত রাজনীতি থেকে দিনকয়েকের বিরতি। নিজের প্রথম ছবির প্রচারে কোনওরকম খামতি রাখতে রাজি নন মদন। জানালেন, ‘কলকাতা ও শহরতলীর যেখানে যেখানে ওহ লাভলি মুক্তি পেয়েছে সেখানে সেখানে হল ভিজিটে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। আমি গেলে ভিড় বেশি হবে। বাংলা সিনেমার পাশে থাকার জন্যই ওহ লাভলি হিট হওয়া দরকার।’