চলতি বছরের ১ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট। ছবিতে শুধু অভিনয়ই করেননি মাধবন, সঙ্গে ছিলেন পরিচালনা ও প্রযোজনার দায়িত্বেও। দর্শকদের মধ্যে প্রবলভাবে সমাদৃত হয় ছবিখানা। তবে হঠাৎই শোনা যায় সিনেমার জন্য নাকি নিজের বাড়িই বিক্রি করে দিতে হয়েছে মাধবনকে। আর এই নিয়ে হওয়া একটা টুইটের জবাবও দেন মাধবন স্বয়ং।
এক জনৈক টুইট করেন, ‘রকেট্রির পিছনে টাকা ঢালতে গিয়ে মাধবন নিজের বাড়ি হারিয়েছে। পরিচালনাও করেছে ছবিটা, কারণ যার কথা ছিল পরিচালনার সে করতে পারেনি আগে দিয়ে রাখা ওয়ার্ক কমিটমেন্টের কারণে। অন্য দিকে, ওর ছেলে বেদান্ত দেশকে সাঁতারের জন্য পদক এনে দিচ্ছে। ম্যাডিকে স্যালুট।’
আর এই টুইটের উত্তরেই মাধবন লেখেন, ‘দয়া করে আমার বলিদান নিয়ে অতিরিক্ত খবর দেবেন না। আমি নিজের বাড়ি বা কিছুই হারাইনি। এমনকী রকেট্রির সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলাম তাঁরা এই বছর বড় অঙ্কের আয়কর দিয়েছি। ভগবানের আশীর্বাদে আমরা খুব ভালো অঙ্কের লাভ পেয়েছি। আমি এখনও নিজের বাড়িকেই ভালোবাসি আর সেখানেই থাকি।’
ইসরোর বিজ্ঞানী তথা অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার নামবি নারায়ণের বায়োপিক এই ছবি। নাসায় কোটি কোটি টাকার চাকরির অফার হেলায় ফিরিয়েছিলেন নাম্বি নারায়ণ। কারণ দেশের উন্নয়নের স্বার্থে নিজেকে সমর্পন করা এই বিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগ এনেছিল সিবিআই, গ্রেফতারও হন তিনি। কিন্তু ১৯৯৮ সালে নাম্বি নারায়ণকে নির্দোষ ঘোষণা করে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই গল্পই বলেছে এই ছবি। ‘রকেট্রি-দ্য নাম্বি এফেক্ট’-এ মাধবন ছাড়াও রয়েছেন সিমরণ বাগ্গা। সিনেমার হিন্দি ভার্সনে সাংবাদিকের চরিত্রে কেমিও করেছেন শাহরুখ খান।
ইংরেজি, হিন্দি এবং মালায়ালাম, কন্নড়,তামিল এবং তেলেগু ভাষায় মুক্তি পেয়েছে ছবিখানা। ছবির নির্মাতাদের দেওয়া খবর অনুসারে ২৫ কোটি বাজেটের এই ছবি ৫০ কোটি আয় করেছে। প্রেক্ষাগৃহে ভালো ব্যবসা করার পর সিনেমা দেখা যাচ্ছে অ্যামাজন প্রাইমে।
তবে ঘটনাচক্রে ‘রকেট্রি’র পরিচালনা করলেও ভবিষ্যতে আর সেকাজ করার ইচ্ছে নেই বলেই জানিয়েছেন মাধবন। তাঁর মতে, ‘'আমি আর পরিচালনা করতে পারব বলে মনে হয় না। এখনও পর্যন্ত সে রকম কোনও পরিকল্পনা নেই। পুরো প্রক্রিয়াটি খুবই ক্লান্তিকর। আর আমি তো মনি রত্নম নই যে, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সব ধরনের ছবি বানাতে পারব। আমার মনে হয়, সেটা পারব না।’