সালটা ছিল ১৯৪২, মুক্তি পেয়েছিল মণিরত্নম পরিচালিত ছবি ‘রোজা’। ছবিতে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অরবিন্দ স্বামী ও মধু। ছবিটি মূলত তামিল হলেও মুক্তি পেয়েছিল একাধিক ভাষায়। তামিল, তেলুগু, মারাঠি, মালায়ালম এবং হিন্দিতেও মুক্তি পায় ‘রোজা’। অভিনেত্রী মধুর কেরিয়ারে অন্যতম সেরা ছবি ছিল এটি। 'রোজা' ছবিটি জিতে নিয়েছিল তিনটি জাতীয় পুরস্কার ও ১টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার।
এই 'রোজা' নিয়েই সম্প্রতি বড় স্বীকারোক্তি অভিনেত্রী ‘মধু’র। ‘রোজা’র সাফল্যের পর তিনি 'অহংকারী' হয়ে পড়েছিলেন, একথা সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, তিনি ছবির সাফল্যের জন্য তিনি পরিচালক মণিরত্নমকেও যথেষ্ঠ কৃতিত্ব দেননি।
আরও পড়ুন-‘মিকার গান চালিয়ে বোকা বানানো হচ্ছে!’ দাদাগিরিতে কেশবের গান শুনে কটাক্ষ, সত্য়িই কি তাই?
মধুকে প্রশ্ন করা হয় তিনি কেন 'রোজা', ‘ইরুভার’-এর পর মণিরত্নমের সঙ্গে আর সেভাবে কাজ করেননি? এপ্রশ্নে মধু জানান, রোজার পর তিনি সেভাবে আর মণিরত্নমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। সুসম্পর্ক বজায় রাখেননি। তবে মধু 'রোজা'র পরিচালকের প্রশংসা করে বলেন, তিনি মণিরত্নমের মতো ‘গডফাদার’ ব্যক্তিত্ব খুব কমই দেখেছেন। জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করতেন মণিরত্নম ওই চরিত্রের জন্য শুধু তাঁকেই উপযুক্ত মনে করেছিলেন।
তবে মধু জানিয়েছেন, 'রোজা'র সাফল্যের পর তাঁর সেই অহংকার কষ্টের জায়গা থেকেই এসেছিল। কারণ, তাঁর নিজের কেরিয়ারে তাঁর পাশে আর কখনও কেউ দাঁড়াননি। মধু জানিয়েছেন, রোজার মেকআপ থেকে পোশাক সবই তিনি নিজে করেছিলেন। তাই তিনি এক্ষেত্রে কাউকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ ছিলেন। তিনি এটাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে তার এই মনোভাবের কারণেই বহু লোকজন বিরক্ত হয়েছিলেন।
মধু আরও শেয়ার করেছেন যে মণিরত্নমের যে সমস্ত কৃতিত্ব প্রাপ্য সেটা তাঁর সেই সময়ে পরিচালককে বলা উচিত ছিল। তবে তিনি এখন তাঁকে সমস্ত কৃতিত্ব দেন। তবে মধু এটাও স্বীকার করেছেন যে তিনি 'রোজা'র পরেও পরিচালকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখেননি, আর সেই কারণেই তাঁকে আর কোনও ছবিতে নেওয়া হয়নি।