নয়ের দশকের শেষ দিকে হওয়া এক গাড়ি দুর্ঘটনার দরুণ গুরুতর আহত হয়েছিলেন বলি-অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী। দুর্ঘটনার জেরে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছিল তাঁর মুখ। সেই দুঃসময়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন একমাত্র অজয় দেবগন।সম্প্রতি,সংবাদমাধ্যকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন এই অভিনেত্রী স্বয়ং। মহিমার কথায়, ওইদিন ' দিল ক্যায়া করে ' ছবির শ্যুটিংয়ের শেষ দিন ছিল। শ্যুটিংয়ের লোকেশনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ি চেপে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর রাস্তার মাঝেই উল্টোদিক থেকে তীব্র গতিতে আসা একটি দুধের ট্রাকের সঙ্গে তাঁর গাড়ির জোর সংঘর্ষ হয়। সেই দুর্ঘটনার জেরে অভিনেত্রীর শরীরে কোনও হাড় না ভাঙলেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল তাঁর মুখ।
মহিমার কথায়,' গাড়ির কাঁচ ভেঙে আমার সারা মুখে ঢুকে গেছিল,বিশ্রীভাবে কেটে গেছিল মুখের বিভিন্ন অংশ!' ক্ষত এতটাইগভীর হয়েছিল যে মহিমা একপ্রকার ঠিক করেই নিয়েছিলেনযে তিনি আর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরবেন না।এখানেই না থেমে মহিমা আরও জানান যে তাঁর জীবনের ওই ভয়ংকর সময়ে সংবাদমাধ্যম তো তাঁর পাশে দাঁড়ায়ইনি উল্টে একটি অংশ জোর লেখালিখি শুরু করে যে মহিমার ফিল্মি কেরিয়ার শেষ। এমনকি তাঁর মুখের ক্ষত নিয়েও বিকৃত ও চটুল মন্তব্য করতে ছাড়েনি তারা,দাবি এই অভিনেত্রীর।
আর ঠিক এই সময় মহিমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন অজয় দেবগন। আহত অভিনেত্রীকে ভরসা জোগানোর পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসার প্রায় সমস্ত ব্যয়ভারটুকুও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন ' সিংঘম '।মহিমার জবানিতে, ' অজয় আমার সেই ছবির প্রোডিউসার ছিলেন। সবার আগে তিনি ছুটে এসেছিলেন। পাশে পেয়েছিলাম কাজলকেও। ওই ভয়ংকর সময় ক্রমাগত আমাকেসাহস জুগিয়ে গেছেন অজয়। কোন ডাক্তার,সার্জেন দেখতে হবে,কোথায় চিকিৎসা করতে হবে তা নিজে থেকে সব খোঁজ নিয়েছিলেন অজয়। আমি যাতে সঠিক চিকিৎসা পাই সে ব্যাপারেও ভীষণ সজাগ ছিলেন অজয়। '