এর আগে একাধিক সাক্ষাৎকারে মল্লিকা জানিয়েছিলেন বলিউডে ডেবিউ করার আগেই নিজের পিতৃদত্ত নাম রিমা লাম্বা পাল্টিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। বড়পর্দার অভিনেত্রী হওয়ার লক্ষ্যে রীতিমতো বাড়ি থেকে পালিয়ে বি টাউনে পারি জমিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি আরও জানিয়েছিলেন 'শেরাওয়াত' আদতে তাঁর মায়ের বাড়ির পদবি। কেন নাম বদলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে পদবির ক্ষেত্রেও একই রাস্তায় হেঁটেছিলেন তিনি? এতদিন পর সেই কারণ নিজেই ফাঁস করলেন 'মার্ডার' অভিনেত্রী।
সম্প্রতি, বলিউড বাবল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মল্লিকা জানান যে তাঁর বাবার কিছুতেই সায় ছিল না যে মেয়ে কেরিয়ার হিসেবে অভিনয়ের জগতে আসুক। সেইজন্য নানারকম হুঁশিয়ারিও শুনতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। এমনকি তাঁর বাবা এও বলেছিলেন মল্লিকা যদি বলিপাড়ায় পা রাখেন তাহলে নিজের পরিবারেরও সম্মানহানি করার সঙ্গে সঙ্গে সে ব্যাপারে কোনও পার্থক্য থাকবে না। এরপরেই পাল্টা রুখে দাঁড়ান মল্লিকা। অভিনেত্রীর কথায়, ' পুরুষতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। বাবা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যদি 'ফিল্ম লাইন'-এ আসি তাহলে তিনি আমাকে ত্যাগ করবেন। যদিও ত্যাজ্য সন্তান হয়ে যাওয়ার ভয়ে ওই শাসানিতে এক ফোঁটাও ঘাবড়াইনি। বরং বাবাকে সরাসরি বলেছিলাম যে আমিই ওঁকে ত্যাগ করছি'। বাবার নামের সঙ্গে কোনওরকম সংস্রব না রাখার উপায় হিসেবে সচেতনভাবেই নিজের মামারবাড়ির পদবি ব্যবহার করা শুরু করেন এই বিতর্কিত অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, বলিপাড়ায় পা রেখেই শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন মল্লিকা। ২০০৩ সালে ‘খোয়াইশ’ ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। ছবি জুড়ে নায়িকার একাধিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্য এসেছিল খবরের শিরোনামে। তার পরের বছর অনুরাগ বসুর ‘মার্ডার’-এ অভিনয় করার পর থেকেই আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন তিনি। তার অন্যতম কারণ, ঘনিষ্ঠ দৃশ্য। নায়িকার মতে, সেইসময় বলিউড তখনও সাবালক হয়ে ওঠেনি। হিন্দি ছবিতে ওরকম ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে দেখতে অভ্যস্ত হননি দর্শক। তাই 'মার্ডার'-এর দৌলতে রাতারাতি লাইমলাইটে চলে আসেন তিনি। এরপর জ্যাকি চ্যানের সঙ্গে হলিউডের 'দ্য মিথ' ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।
ওই একই সাক্ষাৎকারে মল্লিকা আরও জানান যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষও বদলে যায়। সেই নিয়মে এখন আগের তুলনায় পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অনেকটাই সহজ। তবে সব তিক্ততা এখনও পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে তা নিয়ে এখন আর কোনও আফসোস নেই অভিনেত্রীর মনে।