দিদি নম্বর ওয়ানে খেলতে এসেছিলেন নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা। বাবুর মা অরিজিতা মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বৌদি অর্থাৎ মানসী সেনগুপ্ত, প্রমুখরা এসেছিলেন। সেখানেই মানসী সেনগুপ্তর একাধিক হাঁড়ির খবর ফাঁস হয়ে গেল।
দিদি নম্বর ওয়ানে নিম ফুলের মধুর মানসী
এদিন দিদি নম্বর ওয়ানে খেলতে এসেই মানসী জানান 'আজ আমি খুব কম কথা বলব, নইলে ওরা সব ফাঁস করে দেবে। কিছু মিথ্যে বলতে পারব না। তাছাড়া আমি চুপ থাকা শুরু করেছি এখন।' এটা শুনেই বাবুর মা ওরফে অরিজিতা বলেন, 'ও মাঝে মধ্যে আলাদাই জগতে চলে যায়। দু একবার ডেকে তারপর সাড়া পাই। সে কেমন ভাবের ঘোরে থাকে।' তারপর তিনি বন্ধুর কীর্তি কথা জানিয়ে বলেন, 'আমরা যে গ্রিনরুমে বসি সেখানকার সব আলো নিভিয়ে একটা ছোট্ট লো লাইট আলো জ্বালিয়ে রাখে। সঙ্গে হালকা গান চালায়। মাঝে মধ্যে আবার সুগন্ধি ছড়িয়ে দেয়। আলাদাই পরিবেশ তৈরি করে রাখে। মনে হবে যেন কোনও থাই স্পাতে এসেছেন।' এটা শুনেই হেসে ফেলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর মানসী নিজেই জানান তিনি খুব রোম্যান্টিক মানুষ। তবে তাঁর বর মোটেই রোম্যান্টিক নন। তিনি খেয়েছেন কিনা, পৌঁছেছেন কিনা জিজ্ঞেস করলেও, সেটে খাবার পৌঁছে দিলেও সারপ্রাইজ দেন না বলে অভিযোগ করেন। জানান, 'আমার মাঝে মধ্যে সারপ্রাইজ পেতে ভালো লাগে। খাবার তো অ্যাপ থেকেও আনা যায়। কিন্তু তার সঙ্গে একটা ফুল, কেকের সঙ্গে একটা ফুল এগুলো ভালো লাগে। লং ড্রাইভ যাওয়া, বেল বাজল একটা জামা পাওয়া এগুলো চাই।'
তবে নিজেকে যতই রোম্যান্টিক বলে দাবি করুন না কেন মানসী তিনি এদিন পরিশেষে নিজের নতুন বছরের রেজোলিউশন হিসেবে জানান, 'আমি আরও শান্ত থাকব। চুপ থাকব। কথা কম বলব। আর রোম্যান্টিক কম হবো। হবোই।' তাঁর কথা শুনে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন 'দেখব কত কী করিস।'