অসুস্থ মিমি চক্রবর্তী? শিরদাঁড়া/ ঘাড় সংক্রান্ত সমস্যার কারণে দুবাইতে চিকিৎসা করাচ্ছেন মিমি! অভিনেত্রীর ইনস্টাস্টোরি অনন্ত তেমনটাই বলছে। কী পোস্ট করেছেন মিমি?
মিমি চক্রবর্তীর ইনস্টাস্টোরিতে দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসার জন্য রোগী হিসাবে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ফিলাপ করেছেন মিমি। আর সেটা ছিল ‘কাইরোপ্র্যাকটিক’ চিকিৎসার রেজিস্ট্রেশন ফর্ম। ছবি পোস্ট করে মিমি ইনস্টাস্টোরিতে লিখেছেন, 'Intence Cairopractic'। কিন্তু কী এই কাইরোপ্র্যাকটিক চিকিৎসা?
জানা যায়, 'কাইরোপ্রাকটিক এডজাষ্টমেন্ট থেরাপি' খুব অল্প সময়ে রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে। জানা যায়, স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধি এবং পেশীর স্কেলিটাল সিস্টেমের অস্ত্রোপচার বিহীন একটা চিকিৎসা পদ্ধতি হল কাইরোপ্রাকটিক। এই থেরাপি মেরুদণ্ড, ঘাড়, শরীরের বিভিন্ন পেশী, হাড়, জয়েন্ট এবং সংযোগকারী টিস্যু যেমন তরুণাস্থি, টেন্ডন এবং লিগামেন্ট সম্পর্কিত সমস্যাগুলির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন-প্রতিযোগীর অনুরোধ, বাঙাল ভাষায় এটা কী বললেন 'দাদা' সৌরভ! হেসে লুটোপুটি সকলে…
আর তাই মিমির পোস্ট থেকে অনুমান করা যায়, তাঁরও এধরনেরই কোনও সমস্যা হয়েছে। সেকারণে তিনি দুবাইতে 'কাইরোপ্রাকটিক এডজাষ্টমেন্ট থেরাপি' সাহায্য নিচ্ছেন।
কিছুদিন আগেই রাজনীতি থেকে সরে অভিনয়েই সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করার কথা জানিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। আপাতত তিনি রয়েছেন দুবাইতে। জানা যাচ্ছে, মিমি নাকি এই মুহূর্তে কোনও এক বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ে দুবাইতে রয়েছেন।
রাজনীতি ছাড়ার পর মিমির হাতে এখন ভরপুর কাজ। রাজনীতি ছাড়ার পর মিমির হাতে এখন ভরপুর কাজ। খুব শীঘ্রই আবির চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে 'আলাপ' ছবিতে দেখা যাবে মিমিকে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সেই ছবির শ্যুট শেষ করেছেন মিমি। এছাড়াও বাংলাদেশের ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা হচ্ছেন মিমি।
প্রসঙ্গত,কয়েকদিন আগে একাধিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। শুধুই কি তাই! যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ পদ থেকেও তিনি ইস্তফা দিতে চেয়েছেন। তার জন্য ইতিমধ্যেই তিনি দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। লোকসভা ভোটের আগে তাঁর এই সিদ্ধান্ত দেখে অনেকেই বেশ অবাক হয়েছেন।
তবে কি সত্যিই আর রাজনীতিতে ফিরছেন না মিমি? এই প্রশ্নে আনন্দবাজারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন,'এখন কী হবে না হবে সেটা সম্পূর্ণ ভাবে সময় এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এটা আমি আগেও জানিয়েছি। আবারও জানালাম।'মিমির কথায়,'আমি যা বলি খুব ভেবে চিন্তেই বলি। কোনও সাময়িক মুহূর্তের আবেগের বশে কিছু বলি না। আর এখন আমি যাহা বলিব সত্য বলিব মুডে আছি একদম। আমার কাজের চাপ এখন খুব বেড়ে গিয়েছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমার মনে হয় অভিনয়কেই আমার গুরুত্ব দেওয়া উচিত।'