ক্যাটরিনা আর ভিকির বিয়ের আগে থেকেই ‘বিয়ে বিয়ে’ পেয়েছিল মনে হয় মীরের। চারিদিকে বিয়ে নিয়ে এত খবর, এত জল্পনা দেখে বেশ মজার একটা পোস্ট করেছিলেন! লিখেছিলেন, ‘ক্যাট কি সত্যি ভিকিকে ভালোবাসে, নাকি এটা ভিকির একটা কৌশল’! আর এবার ভিকি-ক্যাটের বিয়ে সুসম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর নিজের বিয়ের সাজের ছবি শেয়ার করে নিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
লাল রঙের পাঞ্জাবি, তসরের ধুতি। মাথায় টোপর, গলায় মালা। কপালে আঁকা ফুলচন্দন। একগাল হেসে হাত জোড় করে ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন মীর। এই ছবি শেয়ার করেই ক্যাপশনে লিখলেন, ‘যাকে দেখছি সেই বিয়ে করছে!!! এই ছবিটা সেই সমস্ত সিঙ্গলদের জন্য যাদের এবারেও হল না!’
মীরের এই পোস্ট আপাতত ভাইরাল। এখানে যেমন বিবাহিতরা বিয়ের পরের জীবন নিয়ে মজার মজার কমেন্ট করেছে, তেমনই আবার সিঙ্গেলরা বলছেন, এভাবে তাঁদের পিছনে লাগাটা একেবারেই ঠিক হচ্ছে না।
১৯৯৭ সালের ১৬ মে বিয়ে করেন মীর। স্ত্রীর নাম সোমা ভট্টাচার্যকে। রেডিও শো সূত্রেই আলাপ দু'জনের। মীর তখন রেডিও চ্যানেলে কাজ করছেন আর সোমা এনআরএসের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। মীরের শো শুনে ফ্যান লেটার লেখেন সোমা। আর তা রেডিয়ো চ্যানেলে পড়ে শোনান মীর। তারপর সোমাকে চিলড্রেন্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের টিকিট পাঠান গ্লোব সিনেমার। সেখানেই প্রথম দেখা। তারিখ ছিল ১৬ মে ১৯৯৫।
মীর একবার জানিয়েছিলেন বিয়ের সময় তাঁদের দু'জনের কাছেই শেরকম অর্থ ছিল না। তাই খুব ঘরোয়া উপায়ে কাছের বন্ধুদের ডেকে বিয়েটা করেছিলেন। মেনুতে ছিল সিঙ্গাড়া, চানাচুর, মিষ্টি আর কোল্ড ড্রিংকস। রেজেস্ট্রির পর হিন্দু মতেই বিয়ে করেছিলেন মীর। পাঞ্জাবি, টোপর, ধুতি পরে, আর সোমা পরেছিলেন শাড়ি। মীর আর সোমার মেয়ের নাম মুসকান।