রূপের লীলাভূমি কাশ্মীরে বসবে মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৩-এর আসর, মঙ্গলবার দিনভর এই খবর নিয়ে চর্চা সবমহল। অথচ সন্ধ্যা গড়াতে বিশ্ব সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আয়োজক সংস্থা PME এন্টারটেনমেন্ট জানাল এই খবর একদম ভুয়ো। মিস ওয়ার্ল্ডের ৭১তম এডিশনের ভেনু নাকি এখনও চূড়ান্ত হয়নি, যদিও আয়োজক দেশ হিসাবে ভারতের নাম প্রকাশ্যে এসেছে আগেই।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিস ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশনের তরফে আমরা জানাতে চাই, মিস ওয়ার্ল্ড ২০২৩-এর মূূল অনুষ্ঠান কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত হবে বলে যে খবর মিডিয়া প্রচার করছে সেটা ভুল এবং ভিত্তিহীন। যেমনটা আগেই জানানো হয়েছিল, ভেনু নির্বাচন চূড়ান্ত হলে তা আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।’
সোমবার ভূ-স্বর্গে অনুষ্ঠিত হয় ৭১তম মিস ওয়ার্ল্ডের সাংবাদিক বৈঠক। সেখানে অংশ নেন সংস্থার সিইও জুলিয়া এরিক মোরলে। কাশ্মীর উপকত্যার চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যে মন্ত্রমুগ্ধ তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমি বেজায় খুশি, এটা একটা আবেগঘন মুহূর্ত, এই নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যকে দু-চোখে বন্দি করতে পারাটা বড় পাওনা’। এরপরই মিস ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশনের সিইও জানান, আগামী নভেম্বরে কাশ্মীরে আসবে মিস ওয়ার্ল্ডের ক্রিউ। এই মন্তব্য থেকেই জল্পনা শুরু যে কাশ্মীরই অফিসিয়্যাল ভেনু মিস ওয়ার্ল্ডের। যদিও এই খবর যে নেহাত জল্পনা তা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্পষ্ট করা হয়।
সোমবার কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নেন মিস ওয়ার্ল্ড ক্যারোলিনা বিলাস্কা, মিস ওয়ার্ল্ড ইন্ডিয়া সিনি শেট্টি, মিস ওয়ার্ল্ড ক্যারেবিয়ান এমি পেনা। কাশ্মীরের সৌন্দর্যের চাক্ষুস করেন এই তিন সুন্দরী, শিকারা করে ঘুরে দেখলেন ডাল লেক। কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী পোশাকেও লেন্সবন্দি হন এই সুন্দরীরা।
গত বছর মিস ওয়ার্ল্ডের তাজ উঠেছিল ক্যারোলিনার মাথায়। তাঁর রূপকে আগেই কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু তিনি মজে রয়েছেন কাশ্মীরের রূপে-রঙে। এই সুন্দরী জানান, ‘আমি কৃতজ্ঞ আমাকে এই সুন্দর স্থান দেখবার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আমি একদম আশা করিনি, এই সৌন্দর্য দেখে আমি বাকরুদ্ধ। আমি কাশ্মীর নিয়ে অনেক কিছু শুনেছি, জানতাম এটা সুন্দর জায়গা তবে আজ যা দেখলাম সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না’।
প্রসঙ্গত, প্রায় তিন দশকের ব্যবধানে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা। বিশ্বের অন্যতম পুরো এবং মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিউটি পিজেন্ট হল এই বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা। ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই বিশ্বসুন্দরী প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৬ সালে শেষবার এদেশে বসেছিল এই প্রতিযোগিতার আসর। এইবার মোট ১৩০টি দেশের প্রতিযোগী অংশ নেবেন খেতাব জয়ের লক্ষ্যে।
ভারতীয় সুন্দরীরা একাধিকবার এই খেতাব জয় করেছেন। তালিকাটা মোটেই ছোট নয়। রীতা ফারিয়া, ঐশ্বর্য রাই, যুক্তামুখী, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং মানুষী চিল্লার, দেশকে এনে দিয়েছেন এই তাজ। সিনি শেট্টি কি ষষ্ঠ হিসাবে এই তালিকায় ঢুকে পড়তে পারবেন? জবাব মিলতে অপেক্ষা ডিসেম্বর মাসের।