জুন মাসে এক অ্যাওয়ার্ড শো-এর মঞ্চে দর্শন দিয়েছিলেন আদৃত। তারপর থেকে জনসমক্ষে আসেননি। অথচ উচ্ছেবাবুকে ঘিরে চর্চার শেষ নেই। তাঁর একটা ঝলকের অপেক্ষায় হা-পিত্যেশ করে বসে থাকে অনুরাগীরা। মাঝে অবশ্য সুখবরটি এসেছে। আদৃত এবার বড়পর্দায় ফিরছেন, তাও আবার ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের ছবিতে! জানা গিয়েছে, পরিচালক অভিরূপ ঘোষের ‘পাগল প্রেমী’র হাত ধরে নাকি কামব্যাক হবে আদৃতের। আর এসভিএফ-এরই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হইচই-এর সাত বছর পূর্তির সেলিব্রেশনে সামিল হলেন আদৃত।
এদিন কালো রঙা পাঠান স্যুটে এন্ট্রি নিলেন আদৃত। তাঁর অল ব্ল্যাক লুক চোখ টানল। রেড কার্পেটে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে খানিকটা সচেতন। মাস্কে ঢেকে রেখেছিলেন মুখ। ঝাঁকড়া চুল, মুখভর্তি দাড়িতে চেনা দায় ‘কর্পোরেট গাই’ সিদ্ধার্থ মোদককে। বোঝাই যাচ্ছে মিঠাই এখন অতীত! নতুন ইনিংসের জন্যই কি এমন লুকে আদৃত? জল্পনা ভক্তমহলে।
পাগলপ্রেমী-র জন্যই কি ঝাঁকড়া চুল আর গোঁফ-দাড়ি বাড়াচ্ছেন আদৃত? এমনটাই ধারণা। পার্টির অন্দরে সবার সঙ্গে খোশমেজাজে পাওয়া গেল আদৃতকে। বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে উষ্ণ আলিঙ্গন ভাগ করে নিলেন মিঠাইয়ের নায়ক। হইচইয়ের অজস্র নতুন কনটেন্টের ঘোষণা হল শুক্রবার রাতে। তার কোনওটিতেই যদিও আদৃতের নাম নেই। কিন্তু অসংখ্য প্রোজেক্টের কাস্টিং ঘোষণা করা এখনও বাকি। যে তালিকা রয়েছে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ‘রোমিও জুলিয়েট’-এর বাংলা সংস্করণ। দেবালয় ভট্টাচার্যের ‘মধ্যরাতের ওপেরা’।
এদিন একাই পার্টিতে পৌঁছেছিলেন আদৃত, পাশে ছিলেন না চর্চিত প্রেমিকা কৌশাম্বি। বড় পর্দায় নিজের দ্বিতীয় ইনিংসে সিলমোহর দিয়ে ওটিটি প্লে-কে আদৃত সম্প্রতি জানিয়েছেন, ‘মিঠাইয়ের পর ব্রেক নেওয়াটা খুব জরুরি ছিল। মিঠাই এত দীর্ঘ সময় চলার পর আমাকে অনেক টেলিভিশনের অফার ফেরাতে হয়েছে। কারণ যা শিখেছি সেটা ভুলে যাওয়াটা জরুরি। আজকে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির যা অবস্থা তাে প্রত্যেক অভিনেতার কাছে বিরতি নেওয়াটা জরুরি। সময় নিয়ে অতীতের চরিত্রের খোলস ছেড়ে বার হওয়াটা দরকার। তারপরই কাজে ফেরা উচিত। আমি শ্রীকান্ত স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ যে উনি আমাকে এই সময়টা দিয়েছেন নতুন কাজ শুরুর আগে পুরোনোটা ভুলতে। ক’জন তেমনটা করেন?'
ছোটপর্দার সুবাদেই আদৃতের পরিচিতি, যদিও তিনি কেরিয়ার শুরু করেছিলেন বড়পর্দাতে। ২০১৮ সালে রাজ চক্রবর্তীর প্রযোজনায় তৈরি ‘নূর জাহান’ ছবিতে নূরের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল আদৃতের। ঝাঁকড়া চুলের আদৃতের সুমধুর কন্ঠ মনে ধরেছিল অনেকের, তবে ছবি চলেনি। এরপর পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের ‘প্রেম আমার ২’-তেও কাজ করেন আদৃত। রাজ চক্রবর্তী ঘনিষ্ঠ আদৃত কাজ করেছেন দেবের পাসওয়ার্ড ছবিতেও। ‘পরিণীতা’তেও শুভশ্রীর অফিস কলিগের চরিত্রে দর্শক দেখেছে তাঁকে। কিন্তু সেই অর্থে স্টার তকমা পাননি তিনি। বক্স অফিসের ফ্লপ হিরো ছোটপর্দার হার্টথ্রব নায়কে পরিণত হন। সেই সাফল্যের পর আবারও বড় পর্দায় ফিরছেন আদৃত।