মিঠাইরানিকে পর্দায় বেজায় মিস করছে ভক্তরা। মিঠাই শেষ হতে না হতেই নতুন শুরুর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সৌমিতৃষা কুণ্ডু। জোর কদমে ‘প্রধান’-এর জন্য নিজেকে তৈরি করছেন অভিনেত্রী। আজকাল টেলিপাড়ার ছাড়িয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও জোরচর্চা দেবের নতুন নায়িকাকে নিয়ে। ফিল্মি পার্টিতেও হামেশাই নজরে আসছেন অভিনেত্রী।
শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বোল্ড ফটোশ্যুটে নজর কেড়েছিলেন সৌমিতৃষা। আর এবার চর্চায় নায়িকার নতুন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। সেখানে নিজের ‘একমাত্র ভালোবাসা’র মানুষকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উচ্ছেবাবুর এই মিষ্টি নায়িকা। তৃণমূল নেত্রী শ্রেয়া পাণ্ডের জন্মদিন সোমবার, এই বিশেষ দিনেই সৌমিতৃষার ফেসবুকের দেওয়ালে শ্রেয়ার সঙ্গে দুটি আদুরে ছবি পোস্ট করেছেন। প্রথমটিতে গালে গাল ঠেকিয়ে পোজ দিলেন দুজনে, অন্যটিতে শ্রেয়ার গালে মিষ্টি চুমু আঁকলেন সৌমিতৃষা। আর ছবির বিবরণীতে লেখেন- ‘শুভ জন্মদিন আমার একমাত্র… ভালোবাসা’।
ছবিতে জলপাই রঙা সালোয়ার কামিজে ধরা দিয়েছেন বার্থ ডে গার্ল, সঙ্গে নজরকাড়া সাধন পাণ্ডে কন্যার স্টেটমেন্ট ইয়াররিং। মিঠাইরানির দেখা মিলল গোলাপি পোশাকে। প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে এখন তৃণমূলের পরিচিত মুখ। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন শ্রেয়া। তবে একটা সময় টলিউডের বেশ কিছু ছবিতে শ্রেয়া। সেইসূত্রেই টলিউড তারকাদের সঙ্গে অটুট সম্পর্ক শ্রেয়ার। বিশেষত টলিউডে নায়িকা ব্রিগেডের সঙ্গে তাঁর মধুর সম্পর্ক। কিন্তু আপাতত অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতেই মন তাঁর। সঙ্গে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নিজের একমাত্র শিশু কন্যার। একা মা শ্রেয়া। ২০১৭ সালে সারোগেসির মাধ্যমে মা হয়েছিলেন শ্রেয়া, এখনও বিয়ে করেননি।
মিঠাই-শ্রেয়ার ছবিতে লাইক-কমেন্টের বন্যা। কেউ লিখেছেন, ‘তোমাদের দুজনকেই খুব মিষ্টি লাগছে’, আবার অনেকেই শ্রেয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নিন্দকের অবশ্য প্রশ্ন, এবার কি টলিউড নায়িকাদের মতো রাজনীতির জগতে পা রাখবেন সৌমিতৃষা?
প্রসঙ্গত, পরের মাস থেকেই ‘প্রধান’-এর শ্যুটিং শুরু করবেন সৌমিতৃষা। দেবের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করবার প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ‘এটা আমার প্রথম ছবি, তাই আমি ভীষণ খুশি। অতনু স্যার (অতনু রায়চৌধুরী), অভিজিৎ স্যার (অভিজিৎ সেন) দেবদা (দেব), সকলেই ভীষণ ভালো, ট্যালেন্টেড মানুষ, ওঁদের নিয়ে আমি কীই বা বলতে পারি। এটা আমার কাছে আশীর্বাদ।’ ছবিতে সুযোগ পাওয়া নিয়ে তৈরি হওয়া নেতিবাচকতাকে পাত্তা দিতে না-রাজ মিঠাইরানি। তাঁর কথায়, ‘ট্রোল হচ্ছে, কথা হচ্ছে মানে বুঝতে হবে আমি ভালো কাজ করছি। কাজ করলে তবেই তো আলোচনা হয়। তাই চাপ নিই না। বরং আলোচনা হচ্ছে যখন ভালোই হচ্ছে বলব’।