ডুয়ার্সে শ্য়ুটিং করছেন দেব, সোহম চক্রবর্তী সহ 'প্রধান'-এর টিম। সেখানেই ডুয়ার্সের যে রিসর্টে তাঁরা রয়েছেন, দু'দিন আগে সেখান থেকে একটা বিশাল অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসা ছবি ও ভিডিয়োতে অজগর হাতে দেখা যায় অভিনেতা, বিধায়ক সোহমকে। নিজেও সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন সোহম। ছবিতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি সাপের উপর পা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ব্যস, ওমনি শুরু হয় ট্রোলিং। দেব, সোহম দুই তারকার উপস্থিতিতে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে পশুপ্রেমীরা। বিষয়টি নিয়ে ময়নাগুড়ির পশুপ্রেমীরাও ধিক্কার জানান। আর তাতেই এবার মুখ খুললেম সোহম চক্রবর্তী।
লম্বা পোস্টে সোহম লেখেন, ‘খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমার পাইথনের সঙ্গে একটা ছবি নিয়ে কিছু মিডিয়া, কিছু মানুষ মতামত দিয়ে চলেছেন। হয়ত পুরো বিষয়টা সম্পর্কে তাঁরা ভালোকরে অবগত নন। পাইথনটি প্রথমে রিসর্টের লোক দেখতে পান রিসর্টের লনে, তাঁরাই বনদফতরকে জানান। বনকর্মীরা আসেন সাপটিকে উদ্ধার করেন। আমি তখন উপরের রুমে, খবর পাই সাপ ধরা পড়েছে। জানালা দিয়ে দেখি, এবং নিচে গিয়ে সাপটাকে ধরি তাকে আঘাত করার জন্য নয়। বনকর্মীদের সাহায্য করার জন্য।’
আরও পড়ুন-৪ বছর ‘জওয়ান’এর কলাকুশলীরা মুম্বইয়ে আটকে, অ্যাটলির বাচ্চাও এখানে হয়ে গেল: শাহরুখ
আরও পড়ুন-'কালিবাড়িতে গিয়েছিলাম, ভোগও খেয়েছি', ‘প্রধান’এর শ্যুটিং নিয়ে কী বললেন সৌমিতৃষা
ট্রোলারদের কথায় এসেছে দেবের নামও। সেপ্রসঙ্গে সোহম বলেন, ‘দেবের নাম নেওয়া হচ্ছে, সেটাও ঠিক নয়। কারণ ও পুরোটাই ব্যালকনি থেকে দাঁড়িয়ে দেখছিল। আর লাল টি-শার্ট পরে যিনি সাপের উপর পা তুলে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি আমাদের ক্রিউ মেম্বারদের কেউ নন। উনি বনকর্মী কিংবা রিসর্টের কোনও কর্মী হবেন। উনি যখন পা দিয়েছিলেন, তখন আমরা সেখানে কেউ ছিলাম না, তাই বিষয়টা সম্পর্কে অবগত নই। তবে এটুকু বলতে পারি, উদ্ধারের পর কারোর সাপটির কোনও ক্ষতি করার ইচ্ছা ছিল না। হয়ত আবেগের বশে ছবি তোলা হয়েছে। সবাই সাপটাকে যাতে নিরাপদে রাখা যায়, তাই সাহায্যই করছিলেন। পুরো অক্ষত অবস্থায় সাপটিকে বনকর্মীরা নিয়ে যান।’
সোহম ট্রোলারদের উদ্দেশ্যে আরও লেখেন, ‘সকলকে অনুরোধ করছি, পুরো বিষয়টা না জেনে কেউ কালিমালিপ্ত করবেন না। তাতে সত্য়িটা মিথ্যে বা মিথ্যেটা সত্যি হয় না। সোশ্যাল মিডিয়ার যে ভাইরা কথায় কথায় বাংলা ভাষার অপব্যবহার করো, সেটা বন্ধ করো। এতে হিরো হওয়া যায় না। হিরো হতে গেলে আরও অনেক কাজ আছে, সেগুলো করে নিজের পরিবারকে গর্বিত করো। তাতে ভালোই হবে। দেখো বাংলা ভাষার প্রয়োগ, অপ্রয়োগ আমরাও জানি। তোমাদের ভাষায় তোমাদের উত্তর দিতে পারি না, সেটা আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, রুচিতে বাঁধে। সবশেষে পশুপ্রেমী হিসাবে বলি, নিজের ঢাক নিজে পেটানো আমার স্বভাব নয়। যাঁরা জানেন, তাঁরা জানেন। ভালো থাকবেন।’