করোনা সংকটের মাঝেই ঘূর্ণিঝড় আশঙ্কায় কাঁপছে দক্ষিণবঙ্গের জেলার বাসিন্দারা। গত বছর এই সময়তেই সবকিছু তছনছ করে দিয়েছিল আমফান। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, তার চেয়েও শক্তিশালী এক ঘূর্ণিঝড়ের অভিমূখ এদিকেই। ২২ মে নাগাদ উত্তর আন্দামান সাগর এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে যা তার ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তারপর চলতি মাসের শেষের দিকে অর্থাত্ ২৬ মে বা ২৭ মে দীঘা বা ওড়িশা বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়বে ইয়াস।
নিজের বিধানসভা এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তৈরি অভিনেতা ও বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীও। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থেকে ভোটে জিতেছেন তিনি। এলাকার দুটি ব্লক, ভগবানপুর এবং চণ্ডীপুর ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন প্রশাসনিক কর্তা, পুলিশ আধিকারিক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে। নিজের টুইটারে সবাইকে সতর্ক করার পাশাপাশি আশ্বাস দিয়ে সোহম লিখেছেন, ‘সম্ভাব্য দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য সকল পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন, ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার ও মেডিকেল অফিসার-এর সাথে গতকাল বিস্তারিত মিটিং হয়। আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকুন, সরকার ও প্রশাসন সর্বদা আপনাদের পাশে আছে।’
গত বছরের আমফানের ভয়াবহ স্মৃতির কথা মনে রেখেই ইয়াসের জন্য যথেষ্ট উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। আগে থাকতেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করার জন্য প্রশাসনকে তৎপর করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই একাধিক সতর্কতামূলক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য। তবুও সাধারণের ভয় কমছে না। এখনও আগের বছরের স্মৃতিই যেন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সোহমের তৎপরতায় চন্ডীপুর ও ভগবানপুরে সেফ হোমের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েও বাড়িতে জায়গার অভাবে সেলফ আইসোলেশনে থাকতে পারছেন না, তাঁরা সেই সেফ হোমে এসে চিকিৎসা করতে পারবেন। খুব শীঘ্রই চালু হবে এই পরিষেবা।