কোচবিহারের মেয়ে মৌনি রায়। বিনোদন জগত ১৭ বছরের সফর পার করে ফেলেছেন এই বাঙালি কন্য়ে। অক্ষয় কুমারের নায়িকা, স্ক্রিন শেয়ার করেছেন রণবীর-আলিয়াদের সঙ্গে, ছোটপর্দার অন্যতম হিট নায়িকা। তিনি একতা কাপুরের অরিজিন্যাল নাগিন! আরও পড়ুন- ভালোবাসার চুম্বন, মাখামাখি আদরে! শুভশ্রী কি তবে ‘বোনুয়া’ পাতালেন মৌনির সঙ্গে?
তাঁর অনুরাগীর সংখ্য়া তাক লাগায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্ল্যামারস বিকিনিতে আগুন ঝরান তিনি। অথচ কেরিয়ারের শুরুতে মোটেই এমন দেখতে ছিলেন না মৌনি। নিজেকে বদলেছেন, গ্রুম করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্লাস্টিক সার্জারির অভিযোগও রয়েছেন। অনেকেই প্লাস্টিক-সুন্দরী বলেও মৌনিকে কটাক্ষ করে থাকেন। দীর্ঘ কেরিয়ারে মৌনিকে কম স্ট্রাগলের মুখে পড়তে হয়নি। রিজেকশন সহ্য করেছেন, শরীর নিয়ে কটাক্ষ হজম করেছেন। তবে ভেঙে পড়েননি।
মৌনি যখন টেলিভিশন ছাড়েন, তখন হিন্দি টেলিভিশনের হাইয়েস্ট পেইড নায়িকা ছিলেন তিনি। নিশ্চিত মাস মাইনে ভুলে অনিশ্চয়তার পথে হাঁটা সহজ ছিল না। ইন্ডিয়া টু-কে মৌনি বলন, ‘টেলিভিশন আমাকে সবকিছু দিয়েছে। আমি আজ যা কিছু পেয়েছি, সবটাই টেলিভিশনের জন্য। আমি এর জন্য আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। যখন সিদ্ধান্ত নিলাম সিনেমা করব, ভাবলাম, এখন না হলে আর কবে?’ অক্ষয়ের গোল্ডে বাঙালি কন্যের চরিত্রেই অভিনয় করেছিলেন মৌনি।
জীবনে বহুবার প্রত্যাখানের মুখে পড়েছেন। মৌনি বলন, ‘অনেকবার এমন হয়েছে অডিশন দিয়েছি, বেরিয়ে মনে হয়েছি ফাটিয়ে দিয়েছি। পরে লুক সেট হয়েছে, আমি প্রথম দুজনের মধ্যে এসেছি। কিন্তু রোলটা পাইনি। কখনও কখনও সঠিক কারণেও আমাকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে এমন নয়। তবে আমি উপলব্ধি করেছি এই ইন্ডাস্ট্রিটা এইরকমই। তোমাকে বিষয়টা ভুলে এগিয়ে যেতে হবে’।
সৌন্দর্য নিয়ে মৌনির মত অবাক করা। মৌনি বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা জানে, তবে আমি প্রকাশ্যে প্রথমবার বলছি, আমি নিজেকে সুন্দরী মনে করি না, মনে হয় না আমি খুব আকর্ষক দেখতে। এমন নয় আমি নিজেকে ছোট করছি, দীর্ঘ সময় ধরে আমার এটা বিশ্বাস। আমি নিজের সবচেয়ে বড় সমালোচক। আধ্যাত্মিকতা আমাকে নিজেকে ভালোবাসতে শিখেয়েছি। যা আমাকে সাহায্য করেছে’।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে সূরজকে বিয়ে করেন মৌনি। দেখতে দেখতে দাম্পত্যের দু-বছর পার করে ফেলেছেন তাঁরা। দিশা পাটানি নায়িকার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একসঙ্গে প্রায়ই ছুটি কাটাতে দেখা যায় তাঁদের। মৌনিকে সদ্য়ই ডান্স বাংলা ডান্সের বিচারক হিসাবে দেখেছে দর্শক।