কিংবদন্তি অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় আসতে চলেছেন কপিল শর্মা শো-তে। তাঁর সঙ্গে থাকবেন অভিনেত্রী রিনা রয়। বাংলার এই কন্যা বরাবরই পরিচিত তাঁর ঠোট কাঁটা স্বভাবের জন্য। আর সেরকমটা ধরা পড়ল কপিলের শো-তেও। বর্তমান সময়ের অভিনেতাদের নিয়ে করা তাঁর মন্তব্য মুখ হাঁ করে দেয় শো দেখতে আসা দর্শকদেরও।
এর আগে একটা টিজার শেয়ার করা হয়ছিল চ্যানেলের তরফে। দেখা যায় মৌসুমী তাঁর কথা দিয়ে কপিলের পর্যন্ত মুখ বন্ধ করে দিচ্ছেন। শুধু কপিল নয়, একই হাল হয় ক্রুষ্ণা অভিষেকেরও। এই কমেডিয়ানও নিজের লাইন ভুলে গিয়ে রীতিমতো তোতলাতে শুরু করে ১-২বার।
এখন জানা যাচ্ছে, মৌসুমী বর্তমান সময়ের নায়কাদের নিয়ে বড় মন্তব্য করে বসেছেন কপিলের শো-তে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আগে তোমাকে কে হিরো প্রশ্ন করার দরকার পড়ত না, তুমি লুক দেখলেই বুঝতে পারবে। আর বর্তমান সময়ে তো পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও বোঝার উপায় নেই এই লোকটাই সিনেমার হিরো।’
একটি অংশে দেখা যাচ্ছে কিকু শরদা কলা নিয়ে এসে মৌসুমীকে প্রশ্ন করছেন তিনি খাবেন কি না, যাতে অভিনেত্রীর ব্যঙ্গ, ‘ওহ, কত যেন মায়ের কথা শোনে!’ আর ক্রুষ্ণা মৌসুমীর সামনে দাঁড়িয়ে যেই না নিজের কথা বলতে যাবে, তাঁর শারীরিক অঙ্গভঙ্গি দেখে মৌসুমী বলে ওঠেন, ‘আপনি কি বাথরুমে যাবেন নাকি?’ এভাবে অভিনত্রীর হাতে সবাইকে শায়েস্তা হতে দেখে হাসি থামাতে পারেন না দর্শকরাও।
মৌসুমীকে শেষবার দীপিকা পাড়ুকোন এবং অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে সুজিত সরকারের পিকু (২০১৫) ছবিতে দেখা গিয়েছিল। ১৯৬৭ সালে তরুণ মজুমদারের ‘বালিকা বধূ’র হাত ধরে বাংলা সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ তাঁর। মৌসুমী চ্যাটার্জির কিছু উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে অনুরাগ (১৯৭২), রোটি কাপড়া অর মকান (১৯৭৪), মঞ্জিল (১৯৭৯), আঙ্গুর (১৯৮২), এবং ঘর এক মন্দির (১৯৮৪)। তিনি ২০১৫ সালে ফিল্মফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।
দিনকয়েক আগেই ভাইরাল হয় মৌসুমীর একটি সাক্ষাৎকার। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন কেউ মোদী আর রতন টাটার নিন্দে করলে তিনি সম্পর্ক নষ্ট করে দেন। এমন কারণে বহু কাছের মানুষের সঙ্গে আর কথা বলেন না। মৌসুমীর সাফ কথা ছিল, আমি সবাইকে বলি আমার সামনে যত ইচ্ছে বিজেপির অন্য নেতাদের নিন্দা করো। আমি কিছু বলব না। কিন্তু মোদীজি সম্পর্কে কিছু বললে আমি মোটেই ছেড়ে কথা বলব না। দেশটার জন্য উনি অনেক করেছেন। একদম কাঁচি চালিয়ে দেব।’