ছবি: মার্ডার মুবারক
পরিচালক: হোমি আদাজানিয়া
অভিনয়: সারা আলি খান, পঙ্কজ ত্রিপাঠি, বিজয় ভার্মা
রেটিং: ৩.৮/৫
এ যেন কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! একটা খুনের তদন্ত করতে এসে ঘটে গেল আরও তিনটি খুন। জটিল-কুটিল ব্যাপারে তল পর্যন্ত কী করে পৌঁছন এসিপি ভবানী সিং, কেই বা আসল খুনি, কেনই বা সে খুন করল সেটা নিয়েই মার্ডার মুবারক। কিন্তু কেমন হল সারা আলি খান, বিজয় ভার্মা, পঙ্কজ ত্রিপাঠি অভিনীত এই ছবিটি? চলুন জেনে নেওয়া যাক। ওহ, তার আগে বলি রয়েল দিল্লি ক্লাবের এই ঘটনায় প্রবেশ করার পূর্বে রয়েছে বিধিসম্মত সতর্কীকরণ: ছবির প্রথম ভাগে বুদ্ধি, যুক্তি, তর্ক দরজার বাইরে রেখেই প্রবেশ করুন। এসব দ্বিতীয় ভাগে কাজ লাগবে।
মার্ডার মুবারক ছবির গল্প
দিল্লির এক জনপ্রিয় এবং বড়লোকদের দেখনদারীতে ভরপুর একটি ক্লাব হল রয়েল দিল্লি ক্লাব। ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে উপর উপর সদ্ভাব হলেও ভিতরে কেউ তাঁরা কাউকে পছন্দ করেন না। উল্টে পিছনে বাঁকা কথা বলেন। এমন অবস্থায় সেই ক্লাবের জিম ট্রেনারের হত্যা হয়। কিন্তু কে তাঁকে হত্যা করল, কেনই বা করল এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে এসিপি জানতে পারেন সেই ছেলেটি অর্থাৎ লিও কম বেশি সকলকেই ব্ল্যাকমেল করত তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে। ফলে সকলেরই মার্ডার মোটিভ আছে। কিন্তু আসল খুনি কে, সেটাই কী করে তিনি খুঁজে বের করেন সেটাই হচ্ছে বিষয়।
আরও পড়ুন: যোদ্ধা-বস্তারের ভিড়ে কামাল 'শয়তান'-এর! বক্স অফিসে ১০০ কোটির গণ্ডি পার অজয়ের ছবির
আরও পড়ুন: 'সব ব্যাঙ্গের জবাব...' CCL-এ বেঙ্গল টাইগার্স জিততেই উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা টলিউড, কী বলছেন গৌরব-নবনীতারা?
কেমন লাগল মার্ডার মুবারক
মার্ডার মুবারক ছবিটি একটি আদ্যোপান্ত সোশ্যাল স্যাটায়ার। বড়লোকদের জীবন, বা এই ক্লাবগুলোর অভ্যন্তরে কী কী চলে সেটার এক ঝলক তুলে ধরা হয়েছে। রয়েছে হাসি, রয়েছে মজা, রয়েছে অবাস্তব জিনিসও। পাশাপাশি রয়েছে সাসপেন্স, দুর্ধর্ষ অভিনয়। সব থেকে বড় কথা দ্বিতীয় ভাগে কিছু ক্ষেত্রে আন্দাজ করা গেলেও শেষ পর্যন্ত কিন্তু পরিচালক খুনি কে সেটাকে সুন্দর ভাবে আড়াল করে রাখতে পেরেছেন।
বিজয় ভার্মা রীতিমত নজর কেড়েছেন তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে। পঙ্কজ ত্রিপাঠিকে নিয়ে নতুন করে কীই বা আর বলি! বরাবরের মতোই ভালো। তবে সারা আলি খান যেন দিন দিন আরও উন্নত হচ্ছেন। অন্যান্য চরিত্রে করিশ্মা কাপুর, সঞ্জয় কাপুর, টিসকা চোপড়া, ডিম্পল কাপাডিয়া, প্রমুখ যথাযথ।
আরও পড়ুন: যেন পিকচার 'পারফেক্ট!' মন্নতে মন দিয়ে গিটার বাজাচ্ছেন এড শিরান, তার তালেই নেচে উঠলেন শাহরুখ
নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে তেমন গানের ব্যবহার নেই। যেটি আছে সেটা ঠিকঠাক। ক্যামেরার কাজ বেশ ভালো। কিছু দৃশ্য মনে দাগ কেটে যাওয়ার মতোই। ফলে সপ্তাহের শেষে বা সপ্তাহের মাঝেই কোনও একদিন কাজের শেষে এক ফাঁকে এই ছবি দেখে নেওয়া যায়।