২০১৩ সালে বলি-নায়িকা জিয়া খানের মৃত্যু মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন সূরজ পাঞ্চলি। অভিভোগ ছিল, আত্মহত্যায় প্রেমিকাকে প্ররোচনা দিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তও হয়েছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি নিষ্পত্তি না হওয়া এই মামলা সেশন কোর্ট থেকে সরে গেল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। জিয়ার মৃত্যুর এক বছর পর ২০১৪ সালে সিবিআইয়ের হাতে এই মামলার ভার গেলে তদন্ত শুরু করেন তাঁরা। বছর দুয়েক পর অর্থাৎ ২০১৬ সালে তাঁরা জানান আত্মহত্যাই করেছেন বলি-নায়িকা। এর মধ্যে অন্য আর কিছু নেই। এরপর ২০১৯ সালে সেশন কোর্টে এই মামলার বিচার পর্ব শুরু হয়েছিল বটে কিন্তু তা খুব বেশি দূর এগোয়নি।
এবার নিজেও এই বিষয়ে মুখ খুললেন সূরজ। কোনও রাখঢাক না করেই সোজাসুজি তিনি জানালেন যে সেশন কোর্টের এই সিদ্ধান্ত তাঁকে বেশ স্বস্তি দিয়েছে। এবার এই মামলার বিচার শেষ হলে তিনি যে নির্দোষ প্রমাণ হবেন, সে বিষয়ে দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে তাঁর। যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হন তাহলে সব শাস্তি মিথ্যা পেতে নেবেন তিনি। তবে যদি নির্দোষ প্রমাণিত হন তাহলে এতদিনে তাঁর ওপর আনা সমস্ত অভিযোগ যেন মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে।'
সামান্য থেমে 'হিরো' আরও বলেন,'আট-ন বছর লম্বা একটা সময়। ভীষণ কঠিনও ছিল। আমার নাম প্রথম থেকেই খারাপ হয়ে গেছিল। আর একবার যদি এই ইন্ডাস্ট্রিতে করোও নামে কোনও গুজব কিংবা অভিযোগ ছড়িয়ে যায় তাহলে লম্বা সময় পর্যন্ত তা আঁটোসাঁটো হয়ে বসে থাকে। সেক্ষেত্রে আমার অবস্থাটা বুঝতেই পারছেন। কীভাবে এই সময়টা পেরিয়ে এসেছি আমিই শুধু জানি। তবে আমার বিশ্বাস এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের দেশের বিচার-ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমার’।