Nabanita-Raja: বৈধব্য যন্ত্রণা কাটিয়ে নবনীতা সুখ পেয়েছেন দ্বিতীয় বিয়েতে! দিদি নম্বর ১-এ শাশুড়ির ভয়, ‘তোরা কি মারামারি…’

২০২০ সালের জুলাই মাসে বিয়ে হয় রাজা চট্টোপাধ্যায় আর নবনীতা দে-র। প্রথম বিয়ে সুখের না হলেও, দ্বিতীয় বিয়েতে স্বামী-শাশুড়ি-ননদদের ভালোবাসায় ভরে থাকেন নবনীতা।

দিদি নম্বর ১-এ শাশুড়িকে নিয়ে নবনীতা।

সম্প্রতি দিদি নম্বর ১-এ ছিল শাশুড়ি স্পেশাল এপিসোড। সেখানে এসেছিলেন অভিনেত্রী নবনীতা দে চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে শাশুড়িমা শিপ্রা চট্টোপাধ্যায়। নবনীতা আর শাশুড়ির কথায় বোঝা গেল, সেই চিরাচরিত শাশুড়ি-বউমার ঝামেলার লেশমাত্র নেই! বরং একে-অপরের ঢাল তাঁরা।

প্রথম স্বামীকে হারানোর পর একসময় জীবন ঢেকে গিয়েছিল অন্ধকারে। আর সেখান ধরে হাত ধরে বের করে এনেছিলেন রাজা চট্টোপাধ্যায়। রাজা নিজেও টলিপাড়ার খুব চেনা মুখ। রাজা-নবনীতার সুখের সংসারের ছাপ উঠে এল দিদি নম্বর ১-এ।

বউমার প্রশংসায় যাকে বলে পঞ্চমুখ নবনীতার শাশুড়ি। জানালেন, ‘আমার ৭৫ বছরের জন্মদিন দারুণ কেটেছে। খুব সুন্দর একটা সারপ্রাইজ দিয়েছে ও। সারা বাড়ি সাজিয়েছে। সবাইকে ডেকেছিল। কেক তৈরি করে আমার জন্য রেখেছিল।’

নবনীতাকে শেষ দেখা গিয়েছে রাঙা বউ-তে। তার আগে কাজ করেছিলেন আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়তে। তবে সেখানে বউমাকে নেগেটিভ রোলে দেখতে তাঁর একদম ভালো লাগত না। নবনীতা বললেন, ‘বাড়িতে এসে যেই চিৎকার করতেম, এটা এখানে রাখা কেন, ওটা ওখানে রাখা কেন, বলত তুই তো গায়েত্রী (এই পথ যদি না শেষ হয়তে নবনীতার চরিত্রের নাম) হয়ে গেলি।’

যাতে শিপ্রাদেবী বললেন, ‘আম বলতাম, আমার এদিকে একটা ভিলেন (ছেলে), ওদিকে একটা ভিলেন (বউমা)। তোরা কি মারামারি করবি এবারে?’

নবনীতা আরও বললেন, ‘আমাদের পেশায় পরিবারকে সময় দেওয়া খুব কষ্টকর। তারওপরে মায়ের দায়িত্ব। আমি মাঝে মাঝে খুব অপরাধবোধে ভুগি। কিন্তু আমার মেয়ে যেমন বুঝদার, তেমনই আমার ননদ-শাশুড়িও। আমি রাত ১২টায় বাড়ি ঢুকলেও ওরা বো আমাদের প্রফেশনে কোনও মেয়ের যদি শ্বশুরবাড়ি থাকে, তবে এমনই হওয়া উচিত।’

দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এর আগে নবনী জানিয়েছিলেন প্রথম স্বামীকে হারানোর যন্ত্রণা। কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, ‘গঙ্গার ঘাট থেকে আমি যখন ওর শেষকৃত্য করে উঠি তখন আমার পাশে শ্বশুরবাড়ির কোনও লোক ছিল না। এত দিন যাঁরা আমাকে এত দোষারোপ করে এসেছিল, তারা কেউ ছিল না সেদিন। আমি তখন একটা কথাই মনে মনে বলছি, তুমি এত দিন আমার দিকে আঙুল তুলে এসেছ, কিন্তু এখন আমি আর মেয়ে ছাড়া আর কেউ নেই তোমার জন্য।’ 

ঘরে ঘরে জি বাংলাতে নবনীতা বলেছিলেন, তাঁর জীবনের অক্সিজেন, তাঁর অভিনয় বন্ধ করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর প্রথম স্বামী। তারপর মেয়েকে নিয়ে চলে এসেছিলেন বাপের বাড়িতে। তারপর কোর্ট-কাচারি-উকিল করতে করতেই মারা যায় সেই মানুষটা। নতুন করে স্ট্রাগল শুরু হয় নবনীতার। তবে রাজা এসে নতুন করে গুছিয়ে দিয়েছেন। ২০২০ সালের জুলাই মাসে সই-সাবুদ করে অভিনেতা রাজা চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন নবনীতা।