প্রাক্তন স্ত্রীর দায়ের করা শ্লীলতাহানির অভিযোগ মুক্তি পেলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ও তাঁর পরিবারের চার সদস্য। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ নওয়াজ ও তাঁর পরিবারের ৪ সদস্যকে এই মামলা থেকে ক্লিনচিট দিয়েছে। এখানেই শেষ নয় আদালত এই মামলার ক্লোজার রিপোর্ট গ্রহণ করে অভিনেতা ও তাঁর পরিবারকে স্বস্তি দিয়েছেন।
প্রায় দশ বছর (২০১২) আগের ঘটনা, নওয়াজের প্রাক্তন স্ত্রী আলিয় সিদ্দিকি, (বর্তমানে আনন্দ পাণ্ডে) অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এবং তাঁর পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে প্রটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস (POCSO) আইনে অভিযোগ দায়ের করেন। মূল অভিযোগ ছিল নওয়াজউদ্দিনের ভাই মিনাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে। অভিনেতার ভাই পরিবারেরই এক নাবালক সদস্যের শ্লীলতাহানি করেছিলেন বলে অভিযোগ আনেন আলিয়া। দাবি করেছিলেন বাকি তিনজনও সেটা সমর্থন করেছিলেন।
এই মামলায় তদন্তের পর পুলিশ গত বছর একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আইএএনএস অনুসারে অভিনেতা এবং তাঁর পরিবারকে তখনই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া। পরবর্তীসময়ে বিচারক রিতেশ সচদেবা অভিযোগকারীকে POCSO আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। এই মামলায় তদন্তকারী অফিসারদের মাধ্যমে তাঁকে হাজিরার জন্য একাধিকবার তলব করা হয়। ফলত আদালত এই মামলায় পুলিশ রিপোর্ট গ্রহণ করে অভিনেতা সহ তাঁর পরিবারের ৪ সদস্য়কে এই মামলায় ক্লিনচিট দেয়।
এদিকে দীর্ঘ পারিবারিক অশান্তি, কলহ, মামলা মোকদ্দমা, বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলার পর সম্প্রতি ফের জোড়া লেগেছে আলিয়া-নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির সংসার। পারিবারিক অশান্তির জন্য একসময় আলিয়ার কাছে কম কু-কথা শুনতে হয়নি নওয়াজকে। তবে ফের একবার অতীত ভুলে আবারও নিজের ভরা সংসার নাকি আগলে রাখতে চাইছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি! তিন সপ্তাহ আগে নওয়াজ পত্নী আলিয়ার পোস্টে মিলেছিল নতুন শুরুর ইঙ্গিত!
সম্প্রতি নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী এবং আলিয়া আনন্দ পাণ্ডে (পূর্বে সিদ্দিকি)কে তাঁদের ১৪তম বিবাহবার্ষিকীও উদযাপন করতে দেখা গিয়েছিল। সঙ্গে ছিল তাঁদের আদরের দুই সন্তান। যদিও ছবিগুলি আলিয়াই পোস্ট করেছিলেন। সেখান থেকেই জানা যায় নওয়াজ-আলিয়া, তাঁদের সন্তানদের জন্য নিজেদের বৈবাহিক সম্পর্ককে আরও একবার সুযোগ দেওয়ার কথা ভেবেছেন। যদিও এবিষয়ে নওয়াজ প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি।