বাংলা সিনেমায় একসময় চুটিয়ে কাজ করেছেন অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী। পাঁচের দশকের শেষের দিকে অভিনয় জগতে এসেছিলেন। জন্ম বাংলাদেশের ঢাকায়। সেখানথেকে চলে এসেছিলেন ভারতে। বাবা কেশবচন্দ্র চক্রবর্তী ছিলেন থিয়েটারের নামী অভিনেতা। লিলি-র প্রথম কাজ ছিল ‘ভানু পেল লটারি’ সিনেমা। সিনেমা, সিরিয়াল, সিরিজে এখনও কাজ করে চলেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেন লিলিদেবী। ঘরে ঘরে জি বাংলার ১০০ নম্বর এপিসোডে অপরাজিতা আঢ্য হাজির হয়েছিলেন এই সনামধন্য বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর বাড়িতে। আর সেখানে বরকে নিয়ে গল্প করার সময় বলেন, ব্যবসায়ী ছিলেন তাঁর স্বামী। হঠাৎ সিনেমা বানানোর শখ। আর তাই ইন্ডাস্ট্রিতে আনাগোনা। সেভাবেই আলাপ হয় দুজনের। সিনেমা বানানো আর হয়নি। তবে তাঁকে বিয়ে করে নেন।
আরও পড়ুন: ‘এটাই শেষ ছবি…!’, রুক্মিণীর সঙ্গে সাদা-কালো ছবি শেয়ার করে লিখলেন দেব
লিলি চক্রবর্তীর স্বামীর নাম অজিত কুমার ঘোষ। যিনি পেশায় ছিলেন ডেয়ারি ও ফার্মেসির ব্যবসা। সবসময় অজিতবাবু পাশে ছিলেন স্ত্রী লিলির। কাজে উৎসাহ জুগিয়ে গিয়েছেন। ২০১০ সালে নিঃসন্তান অজিতবাবু চলে যান না ফেরার দেশে।
১৯৪১ সালের ৮ অগস্ট জন্ম ঢাকায়। ১৯৪৬ সালে মা-বাবার সঙ্গে চলে আসেন কলকাতায়। তারপর চলে যান মধ্যপ্রদেশে মামাবাড়িতে। সেখানেই প্রথামিক পড়াশোনা। তারপর মামা বদলি নিলে চলে আসেন কলকাতায়। বেলুড়ের এরটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আইএ পাশ করেন।
আরও পড়ুন: নিউ ইয়ারের পার্টি করছেন কৃতি দুবাইতে! সঙ্গে নিয়েছেন ধোনি আর সাক্ষীকে
অভিনয়ে হাতেখড়ি ক্লাবে নাটক দিয়ে। ‘ভানু পেল লটারি’-তে লিলি-র চরিত্রের নাম ছিল মিস মায়া। একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন উত্তমকুমারের সঙ্গেও। দেওয়া নেওয়া, ভোলা ময়রা, দুই পুরুষ, দেবদাস-এ দেখা গিয়েছে লিলিকে। সুচিত্রা সেনের সঙ্গে দেখা গিয়েছে দ্বীপ জ্বেলে যাইঅ সিনেমায়।
দীর্ঘদিন মধ্যপ্রদেশে থাকায় হিন্দি ভাষার উপর দখল ছিল ভালোই। বলিউডের চুপকে চুপকে, আলাপ, অচানক, ইনকার-এর মতো ছবিতে দেখা যায় তাঁকে। নায়িকা হতেই হবে, এমন বিধিনিষেধ লাগাননি কখনোই। বরং পার্শচরিত্রেও ছুঁয়েছেন সকলের মন।
নিম ফুলের মধু ধারাবাহিকে এখন দেখা যাচ্ছে লিলি চক্রবর্তীকে। জি বাংলার এই উচ্চ টিআরপি-র ধারাবাহিকের অন্যতম আকর্ষণ তিনি। বিশেষ করে যেভাবে বাড়ির নাত বউ পর্ণাকে আগলে রাখে সবসময় তাঁর করা চরিত্রটি, তা বড়ই ভালোলাগে সকলের। সম্প্রতি ধারাবাহিকের সেটে সকলে মিলে তাঁর ৮২ বছরের জন্মদিন পালন করেছিল বেশ ধুমধাম করে।