এক বছরের মধ্যে ভেঙে যায় প্রথম বিয়ে! 'আমি উচ্চাকাঙ্খী ছিলাম', অকপট নীনা

প্রথম স্বামী আমলান কুসুম ঘোষ এবং প্রথম বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।

নীনা গুপ্তা

খুব অল্প বয়সে প্রথম বিয়ে হয়েছিল নীনার। এক বছরের মধ্যেই তাঁদের বিচ্ছেদ ঘটে। সম্প্রতি প্রকাশিত হয় নীনার আত্মজীবনী ‘সাচ কাহু তো’। আত্মজীবনীতে জীবনযুদ্ধ এবং একাকীত্ববোধের গল্প উঠে এসেছে অভিনেত্রীর।

আত্মীজীবনীতে আমলান কুসুম ঘোষ নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন অভিনেত্রী। যাঁর সঙ্গে অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছিল নীনার। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি সংস্কৃতে স্নাতকতা নিয়ে পড়ার সময়, ওই ব্যক্তি আইআইটির ছাত্র ছিলেন।

এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নীনা তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘ক্যাম্পাসে আমি আর আমলান লুকিয়ে দেখা করেছিলাম। ওর হোস্টেল আমার আমার বাড়ির কাছেই ছিল জায়গাটা। ওর বাবা-মা অন্য শহরে থাকত তবে ওর দাদু আমার গলিতে থাকতেন, তাই ডব্লিউইএতে উত্সব এবং ছুটি কাটাতে আসত ও’।

নীনার এক বন্ধু তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করার পরই, নীনার মা-বাবা সব জানতে পারে। তবে, এটি নীনা এবং আমলানের সম্পর্কে এতে কোনো প্রভাব পড়েনি। অবশেষে, আমলনের সঙ্গে শ্রীনগরে বেড়াতে যাওয়ার অনুমতি পেতে নীনা তাঁর সঙ্গে বিয়ে করেন।

যদিও পরে দম্পতির দুজনের বুঝতে পারেন তাঁরা একে অপরের জন্য নয়। নীনার কথায়, ‘আমলানের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা ছিল। সময় এবং আমাদের বড় হওয়ার প্রেক্ষিতে, মনে হত ও ধরে নিয়েছিলেন আমি শেষ পর্যন্ত পরিবারে মনোনিবেশ করব। তবে আমি কিছুটা উচ্চাকাঙ্খী হয়ে উঠেছিলাম এবং নিজেকে কখনও একজন নিয়মিত গৃহিনী হিসাবে দেখিনি। আমি জীবন থেকে আরও চেয়েছিলাম এবং যত বেশি থিয়েটার করেছি, আমার পথ আরও প্রশস্ত হয়ে উঠেছে’।

অভিনেত্রী আরো জানিয়েছেন, যেটুকু সময় তাঁদের বিয়ে হয়েছিল, তাঁরা কখনোই বেশি ঝগড়া করে কাটাননি। প্রতিদিনের জীবন, আমাদের বাড়ি অথবা কেরিয়ার কোনো কিছু নিয়েই নয়। আমরা যখন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই তখন আমরা দুজনেই খুব ছোট ছিলাম, তবে আজ পর্যন্ত তাঁর সম্পর্কে বলার মতো আমার কাছে কোনও খারাপ বিষয় নেই'। বিয়ের এক বছরের মধ্য়েই নীনা-আমলান আলাদা হয়ে যায়।

বিগত ১৩ বছর ধরে বিবেক মেহেরার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ নীনা। অভিনেত্রীর একমাত্র মেয়ের নাম মাসাবা। ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ড এবং নীনার সন্তান মাসাবা।