‘এর চেয়ে ক্যাটরিনা ঢের ভালো ছিল’, মঙ্গলবার আলিয়া ভাটকে দেখে এমন মন্তব্য উপচে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আসলে বিয়ে সেরে রবিবারই কাজে যোগ দিয়েছিলেন রণবীর, আর মঙ্গলবার আবারও কাজে ফিরলেন আলিয়া। এদিন মুম্বইয়ের কালিনা এয়ারপোর্টে লেন্সবন্দি হল রণবীর ঘরণী। কাপুর খানদানের ‘বহুরানি’কে দেখা গেল হালকা গোলাপি সালোয়ার কামিজে। খোলা চুলে হালকা ঢেউ খেলানো, নো-মেপ লুকেই তাক লাগালেন আলিয়া। একটি ডিজাইনার ব্যাগ হাতে গাড়ি থেকে নামতে দেখা গেল অভিনেত্রীকে।
বিয়ের পর যেন আলিয়ার মুখে ফুটে উঠেছে অদ্ভূত সুন্দর গ্লো। খুশিতে উজ্জ্বল তাঁর চোখ-মুখ। মেহেন্দির রঙ এখনও ঝাপসা হয়নি। হাতে জ্বলজ্বল করছে রণবীরের পরিয়ে দেওয়া হিরের আংটিখানি। পাপারাতজিদের দিকে হাত নেড়ে ভিতরে ঢুকে গেলেন 'গঙ্গুবাই'। কিন্তু এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই উঠল নিন্দার ঝড়। কেন? আসলে নীতি পুলিশরা নতুন বউ হিসাবে আলিয়ার এই সাজ মেনে নিতে পারছেন না। আলিয়ার কপালে না আছে সিদুঁর, না রয়েছে হাতে চূড়া। আলিয়াকে দেখে বোঝবার জো নেই সে 'বিবাহিতা', আর তাই নিয়েই আপত্তি নেটিজেনদের একাংশের। একজন লেখেন, 'নতুন বউয়ের এ কেমন সাজ? এর চেয়ে ক্যাটরিনা অনেক ভালো ছিল'। আরেক জন লেখেন, 'কেমন ম্যাড়ম্যাড়ে দেখাচ্ছে'।
তবে শুধু তির্যক মন্তব্য উড়ে এসেছে তেমনটা নয়, অনেকেই আলিয়াকে দেখে লিখেছেন- 'দারুণ সুন্দর লাগছে'। আলিয়ার ফ্যানেরা অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, 'নিন্দুকদের কথায় কান দিও না। তুমি কেমন সাজবে, সেটা তোমার ব্যক্তি স্বাধীনতা'।
এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, পঞ্জাবি রীতি মেনে বিয়ে করলেও 'চূড়া সেরেমানি' বাদ পড়েছে আলিয়ার বিয়ে থেকে। আসলে হাতে লাল চূড়া পরলে সেটি একটানা ৪০ দিন পরে থাকতে হয়, তবে আলিয়ার পক্ষে সেটি সম্ভবপর নয় কারণ খুব শীঘ্রই তিনি তাঁর পরবর্তী ছবির শ্যুটিং শুরু করবেন। তাই নীতু কাপুরের অনুমতি নিয়েই নাকি চূড়া হাতে পরেননি আলিয়া। খুব শীঘ্রই 'রকি অউর রানি'র বাকি কাজ শেষ করে কেরিয়ারের প্রথম হলিউড প্রোজেক্টের কাজ শুরু করবেন আলিয়া। গ্যাল গ্যাডটের সঙ্গে ‘হার্ট অফ স্টোন’ স্ক্রিন শেয়ার করবেন রণবীর ঘরণী।