গত ২রা মার্চ ‘নতুন করে’ শুরু করেছেন অনুপম-প্রশ্মিতা। পিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের দু-বছর পর প্রশ্মিতার সঙ্গে ঘর বাঁধেন সুরকার-গায়ক অনুপম রায়। নতুন বসন্ত দুজনের জীবনেই। প্রশ্মিতা ভালোবেসে সংসার পেতেছিলেন আগেও কিন্তু সেই দাম্পত্য সুখের হয়নি। চিকিৎসক শৌনকের সঙ্গে ডিভোর্সের বছর কয়েকের মধ্যেই অনুপমের মধ্যেই নিজের মনের মানুষ খুঁজে পেয়েছেন গায়িকা।
এই বসন্ত তাঁদের জীবনে রঙের বাহার এনেছে। বিয়ের পর প্রথম দোল অনুপম-প্রশ্মিতার। কী পরিকল্পনা নবদম্পতির? অনুপম জানিয়েছেন রং খেলতে তেমন আগ্রহী নন তিনি। তবে বসন্ত তাঁর খুব প্রিয়। তবে দুর্ভাগ্যবশত এই বছর দোলে তিনি কলকাতায় থাকছেন না! টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’ গায়ক জানান, ‘দুর্ভাগ্যবশত এই বছর দোলে আমি কলকাতায় থাকব না, ওই সময় কাজের সূত্রে ঢাকায় থাকছি।’
বর পাশে থাকবে না, অনুপমের নতুন বউয়ের কী প্ল্যানিং? প্রশ্মিতার কথায়, খুব একটা বেশি রং খেলতে পছন্দ করেন না তিনিও। জানালেন, ‘বসন্তকাল সত্যিই ঋতুরাজ। এই সময় পাখিদের কলতান আমার খুব ভালো লাগে। গাছে গাছে রং-এর বাহার। হোলিটা বাবা-মার সঙ্গে কাটানোর ইচ্ছে রয়েছে।’ তবে স্কুল-কলেজের দিনে রং খেলায় ডুব দিতেন জানাতে ভুললেন না প্রশ্মিতা।
বিয়ের বয়স সবে কুড়ি দিন। দাম্পত্য জীবন কেমন কাটছে? অনুপমের সটান জবাব, ‘খুব ভালো। পজেটিভ এবং সুন্দর’। মুচকি হেসে প্রশ্মিতার জবাব, ‘বিরাট নাটকীয় বদল কিছু ঘটেনি জীবনে। আমরা অনেক দিন ধরে বন্ধু। আমাদের মধ্যে একটা কমফর্ট লেবেল আছে, তাই ভালোই লাগছে। প্রতিটি মুহূর্ত এনজয় করছি’।
ছেলেবেলার স্মৃতি হাতড়ে অনুপম জানালেন, ‘ছোটবেলা থেকেই রং থেকে আমি দূরেই থাকি। দোলেতে পাড়ার লোকজনকে দেখতাম রঙ মেখে ভূত হয়ে ঘুরছে। শরীর থেকে রং তোলা খুব কঠিন কাজ। আমি তাই শুরু থেকেই একটু রং-এ ভয় পাই। মনে আছে ক্লাস সিক্সে পড়তে সব রকমের রং মেখে দোল খেলেছিলাম, শুধু কেমন লাগে যেটা অনুভব করব বলে। মোটেই ভালো লাগেনি। দোলের আগে শান্তিনিকেতনের আবহওয়াটা আমার খুব ভালো লাগে, চারিদিকে সঙ্গীত…’।
দোল মানেই রং। অনুপম-প্রশ্মিতার জীবনে রং-এর অর্থ কী? প্রশ্মিতার একবাক্যে উত্তর, ‘সম্পর্ক, আমার কাছে সম্পর্কই হল এমন একটা জিনিস যা জীবনে নতুন রং জুড়ে দেয়’। অনুপম বললেন, ‘সুর। মিউজিক্যাল নোট আমার জীবনে নতুন রং যোগ করে।’