দেওল পরিবারে খুশির হাওয়া। বিয়ের পিঁড়িতে ববির দিদি অজিতা দেওলের মেয়ে নিকিতা চৌধুরী। উদয়পুরে বসেছে রাজকীয় বিয়ের আসর। সেখানেই একজোট গোটা দেওল পরিবার। উদয়পুরের তাজ আরাভালিতে বসেছিল এই বিয়ের গ্র্যান্ড আসর। সম্পর্কের দিক থেকে সানি-ববির ভাগ্নি হন নিকিতা চৌধুরী।
নিকিতা চৌধুরী বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, পেশায় একজন দন্ত বিশেষজ্ঞ (ডেন্টিস্ট)। পাত্র ঋষভ শাহ। যিনি একজন এনআরআই পাশাপাশি একজন ব্যবসায়ী। আরও পড়ুন: দস্যি মেয়ের স্বপ্নপূরণ! স্কুবা ডাইভিং করে কী বললেন মিমি
নিকিতা-ঋষভের বিয়ের পর অভয় দেওল তাঁর আইজি হ্যান্ডেলে নব দম্পতির সঙ্গে একটি সেলফি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ছবিতে বিয়ের বাড়ির সাজে অভয়। মাথায় পাগড়ি, পিঙ্ক শেরওয়ানি পরেছেন অভিনেতা। বিয়ের সাজে নতুন বড়-কনে। সঙ্গে ক্য়াপশনে লিখেছেন, ‘সকলে দেখুন, নতুন বর-কনে, জীবনের এই নতুন অধ্যায়ের জন্য আপনার আশীর্বাদ পাঠান তাঁদের। অবাক হচ্ছি দেখে, আমার ছোট্ট শিশুকন্যা ভাগ্নি অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে’। অভয়ের পোস্টে নব দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁর কোলে ঘুরে বেড়ানো ছোট্ট নিকিতা কবে এত বড় হয়ে গেল ভেবেই হয়রান অভয়।
ডাঃ কিরণ চৌধুরী এবং অজিতা দেওলের মেয়ে নিকিতা। অজিতার ডাক নাম ডলি। তিনি ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের কনিষ্ঠ কন্যা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান ডেন্টিস্ট কিরণ চৌধুরীকে বিয়ের পর সে দেশেই সংসার পাতেন অজিতা। তাঁরা মার্কিন মুলুকের ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকেন। ফিল্মি পরিবারের অংশ হলেও ফিল্মি চাকচিক্যর আড়ালেই বড় হয়েছেন নিকিতা।
এ দিকে ভাগ্নির বিয়েতে ‘জামাল কুদু’ গানে ফাটিয়ে নেচেছেন ববি দেওল। সেই ভিডিয়োও ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাগ্নির প্রাক-বিয়ের অনুষ্ঠান জমজমাট মামা ববির নাচে। ভিডিয়োয় কালো কুর্তা আর ম্যাচিং জ্যাকেটে ধরা দিয়েছেন ববি, সঙ্গে সাদা পাজামা। মাথায় গ্লাস নিয়েই ভাইরাল স্টেপে মা মেলালেন পরিবারের অন্য সদস্যরাও।
উল্লেখ্য, সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘অ্যানিম্যাল’ ছবিতে নিজের তিন নম্বর বিয়ের আসরে এই গানের তালে পা মিলিয়েই এন্ট্রি হয় আবরারের। সাদা শার্ট, গলায় পান্নার মালা ঝুলিয়ে, মদের গ্লাস মাথায় নিয়ে নেচেছেন ‘আবরার’ ববি দেওল। নেপথ্যে বাজছে ‘জামাল কুদু’ গান।
‘জামাল জমলো কুদু’ গানটি ইরানি কবি বিজান সামানদারের লেখা থেকে। সুরকার হর্ষবর্ধন রামেশ্বর ভারতীয় দর্শকদের কাছে এই গান পেশ করেছেন নতুন আঙ্গিকে। গানের যে লাইনটি সবথেকে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে, সেটি হল ‘জামাল জামালেক জামলো জামাল কুদু’। এর বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘ও আমার প্রিয়, আমার ভালোবাসা, আমার মিষ্টি ভালোবাসা’।