বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > স্ত্রী নির্মলা মিশ্রর মৃত্যুর এক বছর কাটতেই প্রয়াত সুরকার প্রদীপ দাশগুপ্ত!

স্ত্রী নির্মলা মিশ্রর মৃত্যুর এক বছর কাটতেই প্রয়াত সুরকার প্রদীপ দাশগুপ্ত!

প্রয়াত নির্মলা মিশ্রের স্বামীর 

Nirmala Mishra's husband Died: স্ত্রী মৃত্যুশোক তাঁকে স্তব্ধ করেছিল, নির্মলা মিশ্রর মৃত্যুর এক বছরের যেতেই চলে গেলেন সুরকার-গায়ক প্রদীপ দাশগুপ্ত। 

গত বছর ৩১ শে জুলাই প্রয়াত হন সঙ্গীতশিল্পী নির্মলা মিশ্র। গায়িকার মৃত্যুর এক বছর কাটতে না কাটতেই সুরালোকে পাড়ি দিলেন তাঁর ‘চিরদিনের সাথী’ প্রদীপ দাশগুপ্ত। মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের দিনই প্রয়াত সুরকার, গীতিকার, গায়ক প্রদীপ দাশগুপ্ত। এদিন শিল্পীর মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ্যে আনেন একলব্য ব্যান্ডের লিড সিঙ্গার পার্থসারথী একলব্য।

জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ প্রয়াত হয়েছেন প্রবীণ শিল্পী। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানান সমস্যায় ভুগছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন প্রদীপবাবু। এদিন সব হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে না-ফেরার দেশে রওনা দিলেন। খ্যাতির নিরিখে প্রদীপ দাশগুপ্তর চেয়ে এগিয়ে ছিলেন নির্মলা দেবী। কিন্তু কখনও সেই নিয়ে তিক্ততা তৈরি হয়নি দুজনের সম্পর্কে। বরং নির্মলা মিশ্রর সাফল্যের পিছনে প্রদীপ দাশগুপ্তর অবদান ভোলার নয়। গায়িকার বহু কালজয়ী গানের নেপথ্যের নায়ক ছিলেন তিনি। স্বামীর সুর করা এবং লেখা অজস্র গান গেয়েছিলেন নির্মলা মিশ্র। 

এদিন পার্থসারথী একলব্য ফেসবুকের দেওয়ালে লেখেন-'দুজন দুজনকে ছাড়া একদম থাকতে পারতেন না । নির্মলাদি ডাকতেন ' জয়' বলে, আর প্রদীপদা বলতেন ' জয়ী ‘। নির্মলাদির অনেক অনেক কালজয়ী গানের সুরকার ছিলেন প্রদীপদা। জীবনের শেষদিন অবধি স্ত্রী কে সঙ্গ দিয়েছেন, সেবা করেছেন। তাই নির্মলাদির চলে যাবার একবছর কাটতে না কাটতেই রওনা দিলেন তাঁর জয়ীর সঙ্গে মিলবেন বলে… ভাল থাকুন এবার দুজন মিলে।’ তাঁর পোস্টে শোকপ্রকাশ করেন সঙ্গীতশিল্পী জোজো মুখোপাধ্যায়। এই খারাপ খবরে মন খারাপ নেটিজেনদের। পরিচিতদের কথায়, ‘নিপাট ভদ্রলোক ছিলেন প্রদীপ দাশগুপ্ত।’

নির্মলা মিশ্রের গাওয়া অন্যতম জনপ্রিয় গান, ‘আমি তো তোমার চিরদিনের হাসি কান্নার সাথী’ গানটির সুরকার প্রদীপ দাশগুপ্ত। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হল ফুলসজ্জার রাতে এই গানের লাইনই চিরকুটে লিখে স্ত্রীকে নিজের জীবনে স্বাগত জানিয়েছিলেন প্রদীপ দাশগুপ্ত। ডাবিং স্টুডিওয় প্রথম আলাপ তাঁদের। তো স্বেচ্ছায় নয়, ‘ডানপিটে’ মেয়ে নির্মলা মৃত্যুশয্যায় থাকা মায়ের শেষ ইচ্ছে পূরণ করতেই প্রদীপ দাশগুপ্তকে বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রীকে আগলে রাখতেন সর্বস্ব দিয়ে, জানা যায় পলিটিক্সের কারণে গানের জগত ছেড়েছিলেন তিনি। বাংলা গানের জগতে যোগ্য সম্মান তিনি পাননি বলেই মত অনেকের। একরাশ অভিমান বুকে নিয়েই চলে গেলেন তিনি। রেখে গেলেন তাঁদের একমাত্র পুত্র সন্তান শুভজিৎ দাশগুপ্তকে। 

 

 

বন্ধ করুন