ঠাকুরের পুজোর রান্নায় বা উপোস করার সময় অথবা রোজাতে বেশিরভাগ সময় সন্ধক লবন ব্যবহার করা হয়। এই লবন প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করা হয়। এবং এটি সামুদ্রিক লবনের চেয়ে অনেক বেশি খাঁটি। এটি হিমালয়ান সল্ট, রক সল্টও বলা হয়ে থাকে। এটি এক ধরণের খণিজ পদার্থ, যাকে খাঁটি নুন হিসেবে মানা হয়।
এই নুনের মধ্যে সাধারণ নুনের তুলনায় অনেক কম আয়োডিন থাকে। তবে এতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফার, দস্তার মতো নানা উপকারি খনিজ উপাদান থাকে। বলা হয় সন্ধক লবনে ৯০ ধরনের খনিজ উপাদান মজুত থাকে। যার ফলে এটি শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। আজকাল বেশিরভাগ চিকিৎসকরা হার্ট, সুগার, অতিরিক্ত ওজনের মতো সমস্যায় সন্ধক লবন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
সন্ধক লবন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে।
মানসিক চাপ কমায়
সন্ধক লবন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত সন্ধক লবন খেলে এটি সেরোটেনিন ও মেলেটোনিন হরমোনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে। যার ফলে ঘুম ভালো হয় এবং দুশ্চিন্তার হাত থেকে রক্ষা করে।
ব্যথা বেদনা থেকে মুক্তি দেয়
সন্ধক লবন শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকারক টক্সিনগুলোকে দেহ থেকে বের করে দেয়। যার ফলে ব্যথা-বেদনাও কমে। স্নানের জলে সন্ধক লবন মিশিয়ে সপ্তাহে ৩-৪ দিন স্নান করুন। মাংসপেশিতে ব্যথার সমস্যা থাকলেও খুব জলদি মুক্তি পাবেন।
হজম ক্ষমতা বাড়ায়
বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল, এবং গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে রকসল্ট ব্যবহার করা হয়। এতে থাকে খনিজ এবং ভিটামিন দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে হজম ক্ষমতার উন্নতি সাধনে সহায়তা করে।
ওজন কমাতে সহায়ক
এই লবণ অতিরিক্ত খিদের ভাব হ্রাস করে এবং শরীরে জমে থাকা চর্বি ঝরিয়ে দেয়। সঙ্গে শরীরে জমে থাকা জলের পরিমাণও কমায়। তাই যারা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন তারাও সন্ধক লবন খেতে পারেন।
সুস্থ ত্বক
রকসল্ট অনেকে রূপচর্চাতেও ব্যবহার করে থাকে। এটি ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং ডিটক্সাইফাই করতে সহায়তা করে। এটি মৃত কোষগুলিকে এক্সফোলিয়েট করে এবং ত্বককে মসৃণ এবং কোমল করে তোলে। তাই রক সল্ট ব্যবহার করে আপনি ঘরোয়া স্ক্রাবার খুব সহজেই তৈরি করতে পারেন।